বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট যেন ক্রিকেটের পরিভাষাকে বদলে দিয়েছিল। ক্রিকেটের প্রথাগত অনেক ধারণার ঘটিয়েছিল এই ফরম্যাট। অন্যান্য দেশের মতো ভারতীয় ক্রিকেটও এই ফরম্যাটের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। খেলোয়াড়দের খেলার ধরণে পরিবর্তন ঘটেছে, হয়েছে প্রচুর পরীক্ষা নিরীক্ষা। ফলস্বরূপ ভারত এই ফরম্যাটে এমন অনেক তারকা ওপেনার পেয়েছে যারা দলে এসেছিলেন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে। এমনই তিন জনের কথা এই প্রতিবেদনে আলোচনা করা হলো।
সচিন টেন্ডুলকার:
১৯৮৯ সালে সচিন টেন্ডুলকারের যখন জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল, তখন তিনি নিজের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে এসেছিলেন পাঁচ নম্বরে। চার বছর ধরে তার জায়গা ছিল মিডল অর্ডারে। তারপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার খাতিরে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে তাকে দিয়ে ওপেন করানো হয়। এই ম্যাচে ব্যাট হাতে ৪৯ বলে ৮২ রান করেন সচিন টেন্ডুলকার। যা সেই যুগে একটি রীতিমতো অবিশ্বাস্য রকমের ব্যাপার ছিল। এরপর কি হয়েছিল তা সকলেই জানেন।
বীরেন্দ্র সেওবাগ:
নিজের ওয়ানডে কেরিয়ারের ১২ তম ম্যাচে প্রথম ওপেন করার সুযোগ পেয়েছিলেন বীরেন্দ্র সেওবাগ। ১৯৯৯ সালে নিজের প্রথম ওয়ানডেতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে বিশেষ কিছু করে দেখানোর সুযোগ পাননি তিনি। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনিও প্রথমবার ওপেনার হিসেবে ব্যাটিং করার সুযোগ পান। তারপরে তিনি কি কি কীর্তি গড়েছেন ওয়ানডে ক্রিকেটে তা সকলেরই জানা।
রোহিত শর্মা:
ইনি এমন নন যে মিডল অর্ডারে সাফল্য পাননি বলে তাকে টপ অর্ডারে তুলে আনা হয়েছে। দীর্ঘদিন মিডল অর্ডারে দারুন ব্যাটিং করেছেন তিনি। কিন্তু 2012 টা একেবারেই ভালো কাটছিল না রোহিত শর্মার। ক্রমাগত কম ব্যক্তিগত রানে আউট হয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু ধোনি তার মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটার কে দল থেকে ছেঁটে ফেলতে আগ্রহী ছিলেন না। তাই বীরেন্দ্র সেওবাগের অফ ফর্মের সুযোগ নিয়ে তাকে ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি একদিনের ম্যাচে গম্ভীরের সঙ্গে ওপেন করতে পাঠান ক্যাপ্টেন কুল। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে সেই ম্যাচে তিনি ৮৫ রান করেছিলেন। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি ওপেনার রোহিত শর্মাকে।