বাংলাহান্ট ডেস্ক: হিন্দুস্তান মোটরসের অ্যাম্বাসাডর (Ambassador) গাড়ি ভারতের গর্ব। প্রতিটি ভারতীয়র মনেই এই গাড়িটির জন্য একটি আলাদা স্থান রয়েছে। তবে বর্তমানে আর তেমন ভাবে রাস্তায় দেখা যায় না এটিকে। কারণ কয়েক বছর আগে থেকে অ্যাম্বাসাডরের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে হিন্দুস্তান মোটরস। আজকের দিনে অত্যাধুনিক গাড়ির ভিড়ে হারিয়ে গিয়েছে অ্যাম্বাসাডর, মারুতি ৮০০, টাটা সিয়েরার মতো গাড়ি। কিন্তু একটা সময় ছিল, যখন এগুলি দাপিয়ে বেড়াতো ভারতের রাস্তায়।
তবে অবশেষে একটি সুখবর পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, আগেকার গাড়িগুলির মধ্যে তিনটি গাড়ি ফের ফিরতে চলেছে ভারতের রাস্তায়। অর্থাৎ সেই পুরোনো দিনগুলি ফের ফিরতে চলেছে দেশে। তবে পুরোনো অবতারে নয়, বরং সম্পূর্ণ নতুন অবতারে ফিরবে এই গাড়িগুলি। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেশ কিছু পরিবর্তন করা হবে। কোন কোন গাড়ি ফিরছে দেশে? দেখে নিন।
১। হিন্দুস্তান অ্যাম্বাসাডর: অ্যাম্বাসাডর গাড়িকে ভারতের রাস্তার রাজা বলা হত। একটি রাজকীয় ব্যাপার ছিল এই গাড়িটির। আমজনতার পারিবারিক গাড়ি থেকে ভিআইপি ও সরকারি গাড়ি হিসেবে প্রচলিত ছিল অ্যাম্বাসাডর। রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী থেকে সরকারি আধিকারিক, সকলেই এই গাড়িটি ব্যবহার করতেন। হিন্দুস্তান ল্যান্ডমাস্টারের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল অ্যাম্বাসাডরকে। ১৯৫৬ থেকে ২০১৪ সাল অবধি এই গাড়িটি বিক্রি করা হয়েছে। তবে শোনা যাচ্ছে, ফের ভারতে ফিরতে পারে রাস্তার রাজা। সূত্রের খবর, নতুন রূপে ইলেকট্রিক মডেলে ফিরতে চলেছে সকলের প্রিয় অ্যাম্বাসাডর।
২। টাটা সিয়েরা: দেশের প্রথম SUV গাড়ি বলতে যদি কিছু বোঝানো হয়, তাহলে সেটি হল টাটা সিয়েরা। ১৯৯১ সালে এটি প্রথম লঞ্চ করা হয়। কোনও ভারতীয় সংস্থার তৈরি এটিই প্রথম অফ-রোড সাপোর্ট ইউটিলিটি ভেহিকেল বা SUV ছিল। তবে ২০০৩ সালে এটির উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু এটিকে ফের ইলেকট্রিক অবতারে ফিরিয়ে আনতে ইচ্ছুক টাটা মোটরস। এ বছরের অটো এক্সপোতে নতুন টাটা সিয়েরার কনসেপ্ট মডেল প্রকাশ করা হয়েছে। সিয়েরা ইলেকট্রিকে একটি ৪০.৫ কিলোওয়াটের ব্যাটারি প্যাক দেওয়া হবে। ফলে এক চার্জে ৪৩৭ কিলোমিটার রাস্তা সফর করতে পারবে এটি।
৩। মারুতি জিপসি: অ্যাম্বাসাডরের সঙ্গে সেই সময়ে আরও একটি গাড়ি দেখতে পাওয়া যেত রাস্তায়। পুলিশ এমনকী সেনাও ব্যবহার করত মারুতি জিপসি। তবে ধীরে ধীরে এটিও বাজার থেকে অবলুপ্ত হয়ে যায়। মারুতি জিপসি কিন্তু রাস্তায় ফিরছে না। এর বদলে মারুতি কোম্পানি জিমনি প্রকাশ করেছে। বলা হচ্ছে, জিপসির মতো এটিও ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ব্যবহার করা হবে। উল্লেখযোগ্য বিষয়, এটি মারুতির প্রথম 4×4 গাড়ি হতে চলেছে। ভারতে প্রস্তুত করে বিদেশে রফতানি করা হবে জিমনি। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার জিমনির বুকিং পাচ্ছে মারুতি।