বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভেগান খাওয়া এখন একটা ট্রেন্ডে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। তারকা থেকে সাধারন মানুষ আমিষ খাবার ছেড়ে অনেকেই ঝুঁকেছেন ভেগান খাবারের দিকে। তাঁদের মতে, এতে যেমন অন্যান্য প্রাণীদের অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়তে হবে না তেমনই স্বাস্থ্যের পক্ষেও এটা খুবই ভাল। কিন্তু ভেগান খাবারে বেশ কয়েকটি জরুরি প্রোটিন বা অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে না। একথা বলছেন চিকিৎসকরাই। শরীরের জন্য প্রয়োজন যে জরুরি অ্যামাইনো অ্যাসিডগুলি সেগুলো ভেগান খাবারে থাকে না পর্যাপ্ত পরিমাণে। প্রাণীজ প্রোটিনগুলি ভেগান খাবারে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই দরকার বিকল্প খাবার।
এমন বেশ কিছু শষ্য ও শষ্যজাত খাবার রয়েছে যাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যামাইনো অ্যাসিড। একনজরে দেখে নিন সেগুলোর গুণ-
কিনোয়া- সাম্প্রতিক সময়ে কিনোয়ার খাদ্যগুনের জন্য অনেকেই খাওয়া শুরু করেছেন এই শষ্য। এক কাপ কিনোয়াতে থাকে প্রায় ৮ গ্রাম প্রোটিন। এছাড়াও কিনোয়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন ও ফাইবার।
টোফু- সয়াবিন থেকে তৈরি এই খাবার এখন খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ৮৫ গ্রাম টোফুতে থাকে প্রায় ৮ গ্রাম প্রোটিন। সঙ্গে পাওয়া যায় ক্যালশিয়াম ও পটাশিয়াম ও আয়রনও যা শরীরের পক্ষে খুবই প্রয়োজনীয়।
বাজরা- বাজরার রুটি একটি জনপ্রিয় ভারতীয় খাবার। খেতে ভাল হওয়ার পাশাপাশি বাজরায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রয়োজনীয় প্রোটিন। এক কাপ রান্না করা বাজরা থেকে পাওয়া যায় ৬ গ্রাম প্রোটিন।
শিয়া বীজ- শিয়া বীজে রয়েছে শরীরের পক্ষে অপরিহার্য ৯টি অ্যামাইনো অ্যাসিড। ২ টেবিল চামচ শিয়া বীজ থেকে পাওয়া যায় প্রায় ৪ গ্রাম প্রোটিন, প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও জরুরি মিনারেলস।
ভাত ও বিনস- ভারতীয়দের ভাত না হলে চলে না। ভাতেও যে রয়েছে অপরিহার্য ৯টি অ্যামাইনো অ্যাসিড তা কী জানতেন? এক কাপ ভাতে রয়েছে ১২ গ্রাম নিউট্রিয়েন্ট।