বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিনোদন জগত রঙিন জগত। অনেকে বলেন, এই জগতে যেমন রয়েছে সফলতার চাবিকাঠি তেমনই রয়েছে অন্ধকার জগতের হাতছানি। সেই হাতছানি এড়াতে না পেরে অনেকেই হারিয়ে গিয়েছেন আঁধারে। বিনোদন জগতের সঙ্গে যৌন ব্যবসার নাম জড়িয়েছে অনেকবার। অনেক জনপ্রিয় অভিনেত্রীর নামেই মধুচক্রে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযোগ, আবার অনেকেই অস্বীকার করেছেন।
জাতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী শ্বেতা বসু প্রসাদের মধুচক্রে জড়িত থাকার বিষয়ে অনেকেই ওয়াকিবহাল। ২০১৪ সালে হায়দ্রাবাদের একটি হোটেল থেকে যৌন ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে শ্বেতাকে গ্রেফতার করে পুলিস। অবশ্য এখন সেসব অতীত ভুলে নতুন করে সবকিছু শুরু করেছেন তিনি। শিশুশিল্পী হিসাবে ‘মাকড়ি’ ছবির জন্য জাতীয় পুরষ্কার পেয়েছিলেন শ্বেতা বসু প্রসাদ।
অভিনেত্রী শার্লিন চোপড়ার বিরুদ্ধেও উঠেছিল অভিযোগ। কিন্তু তিনি নিজেই স্বীকার করেন মধুচক্রে জড়িত থাকার কথা। তাঁর কথায়, ছবিতে সুযোগ না পাওয়ায় এইভাবে রোজগারের ব্যবস্থা করেন তিনি। আরশি খান সম্পর্কেও অভিযোগ ওঠে ভারতে মধুচক্র চালানো নিয়ে। কিন্তু তিনি তা অস্বীকার করে বলেন তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। তিনি কোনওদিনই এসবে জড়িত থাকেননি।
দক্ষিণী সিমেনা জগতের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী ভুবনেশ্বরী। তাঁর নামেও অভিযোগ আছে অবৈধ মধুচক্র চালানোর।
কন্নড় সিনেমা জগতের বেশ পরিচিত মুখ যমুনা। ২০১১ সালে বেঙ্গালুরুতে আইটিসি রয়াল গার্ডেনিয়া ইন হোটেলে পুলিস রেড করে। সেই সময় আপত্তিকর অবস্থায় হাতে নাতে ধরা পড়েছিলেন তিনি।
সায়রা বানু দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী। যৌন ব্যবসা চালানোর অভিযোগে বেশ কয়েকজন ক্লায়েন্টের সঙ্গে ধরা পড়েছিলেন অভিনেত্রী। হায়দ্রাবাদের বেগমপেটে স্প্রিং হেভেন অ্যাপার্টমেন্টে খবর পেয়ে রেড চালায় পুলিশ। আরও সাত জন মহিলার সঙ্গে ধরা পড়েছিলেন অভিনেত্রী।
মধুচক্র চালানোর অভিযোগে হাতেনাতে ধরা পড়েছিলেন মিষ্টি মুখোপাধ্যায়। তাঁর লোখন্ডওয়ালার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে প্রায় ২ লক্ষ টাকার প্রচুর পর্নোগ্রাফিক সিডি বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ। অবশ্য অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন তিনি নির্দোষ।
জনপ্রিয় অভিনেত্রী আইশ আনসারিও জড়িয়ে পড়েছিলেন যৌন ব্যবসায়। ২০১১ সালে জয়পুরে একটি সেক্স র্যাকেট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে।
অবৈধ যৌন ব্যবলায় যুক্ত থাকার কারনে ২০১২ সালে গ্রেফতার হন অভিনেত্রী ক্যারোলিন মারিয়া আসান। একটি পাঁচতারা হোটেল থেকে হাতেনাতে ধরা হয় তাঁকে।
তামিল অভিনেত্রী মধু আগরওয়ালও আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েছিলেন মধুচক্রে জড়িত হওয়ার অপরাধে।