করোনা (corona) গ্রাস করেছে সারা বিশ্বকে।চীনের পর ইরানে এই রোগ সর্বাধিক বিস্তার লাভ করেছে। বিশ্ব জুড়ে হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যুও হয়েছে বহু জনের। সেই তালিকা থেকে বাদ যায়নি ভারতের (india) এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রামণে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের, আক্রান্তের সংখ্যা ১২৫ ছাড়িয়েছে।বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সিনেমা হল, পর্যটনকেন্দ্র।
এই করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে স্বস্তির খবর, ইতিমধ্যে ভারতে সেরে উঠেছেন ১৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী।করোনা সংক্রমণ আর সাধারণ জ্বর এই দুটোর মধ্যে পার্থক্য করবেন কী করে? এক বিশেষজ্ঞের মতে, করোনা আক্রান্ত হলে প্রথম ১০ দিনে ১০৪ ডিগ্রি জ্বর থাকবে। কারণ এই ভাইরাসের প্রকোপ মানব দেহে ১০ দিন জারি থাকে। আর সঙ্গে শুকনো কাশি। তাই জ্বর হলে অযথা উদ্বেগ না বাড়ানোই ভালো। সাধারণ সর্দি, জ্বর হলে করোনা ভাইরাস এর পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন নেই বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। যদি জ্বরের সঙ্গে শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। আর যদি অন্যান্য ধরনের জ্বর এর থেকে বেশি সময় ধরে এই জ্বর শরীরে থাকে তাহলে অবশ্যই বিষয়টাকে গুরুত্ব দিতে হবে।ওই চিকিৎসক আরও বলেছেন, যেটা ভাইরাল জ্বর বা সাধারণ জ্বর (ফ্লু), অর্থাৎ ঋতু পরিবর্তনের জেরে হয়ে থাকে, সেটায় জ্বরের সঙ্গে সর্দি, নাক বন্ধ, গলা খুশখুশ হয়। কিন্তু করোনাতে নাক বন্ধ কিংবা সর্দির লক্ষ্মণ দেখা যায় ন। এই ভাইরাস সোজা শ্বাসযন্ত্রকে আক্রমণ করে, তাই শুকনো কাশির সঙ্গে ১০৪ ডিগ্রি জ্বর শরীরকে দুর্বল করে তোলে। শিশুদের ক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টা জ্বরমুক্ত না থাকলে তাকে স্কুলে পাঠানো যাবে না।
অফিসের কারও জ্বর, সর্দি, কাশি হয়েছে, তাহলে অবশ্যই তার থেকে কমসে কম পাঁচ ফুট দূরত্ব রেখে কথাবার্তা বলতে হবে। বারে বারে হাত ধুয়ে নিতে হবে। রেস্টুরেন্টের বাবুর্চি হাত ধুয়ে রান্না করেছে বা কিচেন খুবই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, ইঁদুর বা তেলাপোকার বাস নেই, সেখানে ইত্যাদি সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে রেস্টুরেন্টের খাবার খেতে হবে। কমপক্ষে বিশ থেকে তিরিশ সেকেন্ড সময় নিয়ে সাবান দিয়ে ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করে এরপরে খাবার খেতে হবে।