বাংলাহান্ট ডেস্ক : একটা লম্বা সময় পার করে এসেছে বাংলা ছবি (Bengali Film)। যুগ বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হয়েছে পরিচালকদের দৃষ্টিভঙ্গি, অভিনেতা অভিনেত্রীদের অভিনয়ের ধরণ। দর্শকদের পছন্দ অপছন্দও বদলেছে। তবে এখনো সিনেপ্রেমীদের মনে রয়ে গিয়েছে স্বর্ণযুগের কিছু ছবি (Bengali Film) যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পেয়েছে ‘ক্লাসিক’ তকমা।
ক্লাসিক তকমা পেয়েছে এই বাংলা ছবিগুলি (Bengali Film)
৫০ থেকে ৭০ এর দশককেই মূলত বলা হয় বাংলা ছবির (Bengali Film) স্বর্ণযুগ। উত্তম, সৌমিত্র থেকে সুচিত্রা, মাধবী, জহর, ভানু, রবি ঘোষদের জমানা এখন অস্তগত। এখনো সিনেমা হল হাউজফুল হয়, পরিচালক অভিনেতাদের ফ্যান ক্লাব বাড়ে, কিন্তু ক্লাসিক তকমা এখন কার্যত হাতছাড়া হয়েছে বাংলা ছবির। এই প্রতিবেদনে রইল এমনই ৯ টি ক্লাসিক বাংলা ছবির (Bengali Film) হদিশ, যা সমৃদ্ধ করেছে বাংলা চলচ্চিত্র জগৎকে, আর এখনো করে চলেছে।
আরো পড়ুন : বাবা বলিউড-টলিউড কাঁপানো স্টার, দাদুও দাপুটে অভিনেতা, এই স্বল্পবসনা সুন্দরীকে চিনলেন?
পথের পাঁচালী– সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ‘অপু ট্রিলজি’র প্রথম ছবি (Bengali Film)। গ্রাম বাংলার গন্ধ মাখা অপু দূর্গার কাহিনি অমর হয়ে রয়েছে বাংলা ছবির জগতে। এই ছবিই অস্কার এনে দিয়েছিল কিংবদন্তি পরিচালককে।
আরো পড়ুন : মরণোত্তর বিশেষ সম্মান, শ্রীদেবীর প্রয়াণের ৬ বছর পর বিরাট উদ্যোগ, নিজেকে সামলাতে পারলেন না বনি
অপরাজিত– ‘অপু ট্রিলজি’র দ্বিতীয় ছবি (Bengali Film) অপরাজিত। পথের পাঁচালী যেখানে শেষ হয়েছিল, সেখান থেকেই তরুণ অপুর সফর এই ছবিতে তুলে ধরেন সত্যজিৎ।
অপুর সংসার– ‘অপু ট্রিলজি’র তৃতীয় তথা শেষ ছবি (Bengali Film) এটি। যুবক অপু শহর ছেড়ে ফিরে আসে গ্রামে। জীবন বয়ে চলে এক অন্য খাতে। কিংবদন্তি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই ছবিতে সত্যজিতের এক অনন্য আবিষ্কার শর্মিলা ঠাকুর।
চারুলতা– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাসকে রূপোলি পর্দায় তুলে ধরেন সত্যজিৎ রায়। চারুলতা আর তাঁর বাইনোকুলার আজো আইকনিক হয়ে রয়েছে বাঙালি মনে। মাধবী মুখোপাধ্যায়ের অসাধারণ অভিনয় ছবিটি (Bengali Film) ক্লাসিক করে তুলেছে।
অরণ্যের দিনরাত্রি– শহুরে জীবন ছেড়ে বিহারের প্রান্তিক জীবন যাপন করার সিদ্ধান্ত নেয় চার বন্ধু। কিন্তু শেষমেষ তাদের শহুরে আদবকায়দা প্রত্যন্ত অঞ্চলের জীবনযাত্রার সঙ্গে সংঘাত সৃষ্টি করে।
মহানগর– এক মধ্যবিত্ত পরিবারের গৃহবধূ স্বামীর পাশে দাঁড়ানোর জন্য দরজায় দরজায় ঘুরে সেলসের চাকরি নেয়। মহানগরের জীবনযাপনকে সেই সময়ে দাঁড়িয়ে এভাবে পর্দায় তুলে ধরা সম্ভব হয়েছিল সত্যজিৎ রায়ের পক্ষেই।
নায়ক– মহানায়ক উত্তম কুমারের জন্যই যেন তৈরি হয়েছিল ছবিটি (Bengali Film)। এক খ্যাতনামা বাঙালি অভিনেতার সঙ্গে এক ট্রেন সফরে আলাপ হয় এক যুবতী সাংবাদিকের। নায়কের ত্রুটি গুলি ধরতে গিয়ে তাঁর আসল অনুভূতিগুলি আবিষ্কার করেন তিনি। নায়ক বাংলা ছবির জগতে অন্যতম ক্লাসিক ছবি।
সপ্তপদী– উত্তম সুচিত্রা জুটির চিরন্তন প্রেমের কাহিনি, যা আজো একই রকম উজ্জ্বল বাংলা ছবির (Bengali Film) ইতিহাসে। অজয় কর পরিচালিত ছবিটি সে সময়কার বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিল। ছবির সংলাপগুলিও আজো আইকনিক হয়ে রয়েছে। ।
জলসাঘর– স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে জমিদারি প্রথা যখন বিলুপ্ত হতে বসেছে, তখনকার এক বাঙালি জমিদারের বিলাসিতার প্রদীপের ফুরোতে বসা আলোটুকু প্রাণপণে বাঁচানোর কাহিনি অদ্ভূত মুন্সিয়ানায় পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছিলেন সত্যজিৎ রায়। কিংবদন্তি ছবি বিশ্বাসের অভিনয় আজও মুগ্ধ করে সিনেপ্রেমীদের।