বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউড (Bollywood) নিয়ে চিরকালই মানুষের মনে আগ্রহ রয়েছে। তারকাদের অন্দর মহলের হালহকিকত জানতে কে না চান। কোন তারকা কাকে ডেট করছেন, কার সঙ্গেই বসতে চলেছেন বিয়ের পিঁড়িতে। এই সব বিষয় নিয়ে আগ্রহ শুধু এখনকার নয়, বহু আগে থেকে চলে আসছে। এমন অনেক তারকাই রয়েছেন যারা একটা সময় ভালবাসার মানুষটার সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছেন করান বাড়িতে মেনে নেয়নি তাদের সম্পর্ক। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এটাই সত্যি। জেনে নিন এমনই কয়েকজন জনপ্রিয় বলিউড তারকার কথা।
শক্তি কাপুর ও শিবাঙ্গী কোলাপুরি- একটা সময় বলিউডের জনপ্রিয় খলনায়ক ছিলেন শক্তি কাপুর। কিন্তু তাঁর জীবনেও এসেছিল প্রেম। অভিনেত্রী পদ্মিনী কোলাপুরির বোন শিবাঙ্গীর প্রেমে পড়েছিলেন অভিনেতা। দুজনে লুকিয়ে চুরিয়ে প্রেম করতেন। কিন্তু পরিবার থেকে মেনে নেয়নি তাঁদের সম্পর্ক। তাই শেষ পর্যন্ত ১৯৮২ সালে শিবাঙ্গীর হাত ধরে পালিয়ে বিয়ে করেন শক্তি কাপুর।
আমির খান ও রীনা দত্ত- আমির খানের প্রথম স্ত্রী রিনা দত্ত। তাঁকেও বাড়ির অমতেই বিয়ে করেছিলেন অভিনেতা। আমির ও রিনা দুজনে ছিলেন প্রতিবেশী। ২১ ফেব্রুয়ারি তাঁকে প্রেমের প্রস্তাব দেন অভিনেতা। কিন্তু দুজনের সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ধর্মের ভেদাভেদ। জানা যায়, রিনার পরিবার থেকে মেনে নেয়নি এই সম্পর্ক। তাই ১৯৮৬ সালের ১৮ এপ্রিল পালিয়ে গিয়ে রিনাকে বিয়ে করেন আমির।
পদ্মিনী কোলাপুরি ও প্রদীপ শর্মা- বলিউডে টুটু শর্মা নামেই বেশি পরিচিত প্রযোজক প্রদীপ শর্মা। পদ্মিনীকে অ্যায়সা পেয়ার কাহান ছবির জন্য সাইন করেছিলেন তিনি। তখনই প্রথম দেখা দুজনের। কিন্তু তখন পরিস্থিতি তাঁদের অনুকুল ছিল না। বাড়ি থেকেও মেনে নেয়নি তাঁদের সম্পর্ক। বাধ্য হয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান টুটু ও পদ্মিনী। ১৯৮৬ সালের ১৪ অগাস্ট বিয়ে করেন তাঁরা।
ভাগ্যশ্রী ও হিমালয় দাসানি- ম্যায়নে পেয়ার কিয়া ছবির মাধ্যমে প্রচুর জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন ভাগ্যশ্রী। কিন্তু তারপর হঠাৎ করেই অভিনয় জগৎ থেকে গায়েব হয়ে যান তিনি। জানা যায় মাত্র ২১ বছর বয়সেই বিয়ে করে নেন তিনি। হিমালয় ও ভাগ্যশ্রীর স্কুল জীবন থেকে প্রেম। কিন্তু অভিনেত্রীর পরিবার থেকে মেনে নেয়নি এই সম্পর্ক। তাই তাঁরা পালিয়ে বিয়ে করেন। এরপরেই বলিউড থেকে সরে যান ভাগ্যশ্রী।
শশী কাপুর ও জেনিফার কেন্ডাল- ১৯৫৬ সাল, সেই সময় পৃথ্বী থিয়েটারে অভিনয় করতেন শশী কাপুর। কলকাতায় পৃথ্বী থিয়েটার ও সেক্সপিয়ারিয়ান গ্রুপ একত্রে একটি নাটকের আয়োজন করে। সেই সময়েই জেনিফারের সঙ্গে আলাপ হয় শশী কাপুরের। দুজনের মধ্যে প্রেম জমে ওঠে। কিন্তু জেনিফারের বাবার এই সম্পর্কে মত ছিল না। তাই জেনিফার বাবার বাড়ি থেকে পালিয়ে মুম্বই এসে বিয়ে করেন শশী কাপুরকে। ১৯৫৮তে বিয়ে হয় তাঁদের। কিন্তু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৮৪ সালে মারা যান জেনিফার।
শাম্মি কাপুর ও গীতা বালি- রঙ্গন রাতে ছবির শুটিংয়ের সময় গীতা বালির প্রেমে পড়েন শাম্মি কাপুর। চার মাস ডেট করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু শশী কাপুরের থেকে বয়সে বড় হওয়ায় কাপুর পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি। শেষে ১৯৫৫ সালে বলিউডে স্টাইলেই মুম্বইয়ের একটি মন্দিরে ভোর ৫টার সময় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন গীতা বালি ও শাম্মি কাপুর। কিন্তু দুভার্গ্যবশত বিয়ের ১০ বছর পর রোগাক্রান্ত হয়ে মারা যান গীতা বালি।