বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে বিজনেস টাইকুনদের প্রসঙ্গ এলেই সবার প্রথমে যাঁদের নাম মাথায় আসে তাঁরা হলেন রতন টাটা (Ratan Tata), মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani), গৌতম আদানি (Gautam Adani) সহ অন্যান্যরা। প্রায় প্রতিদিনই তাঁরা তাঁদের একাধিক কর্মকাণ্ড এবং বিরল সব নজিরের জন্য খবরের শিরোনামে উঠে আসেন। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা ভারতের অন্যতম ৫ বিজনেস টাইকুনের যুবক অবস্থার ছবি তুলে ধরব। যা দেখে অবাক হবেন আপনারাও। মূলত, যৌবনকালে এই বিজনেস টাইকুনরা তাঁদের রূপের গুণে টেক্কা দিতে পারতেন নায়কদেরও।
আনন্দ মাহিন্দ্রা: মাহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যান আনন্দ মাহিন্দ্রা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় থাকেন। পাশাপাশি, নেটমাধ্যমে তাঁর প্রায় ৯.৮ মিলিয়ন ফলোয়ার্স রয়েছে। তিনি প্রায়শই বিভিন্ন মজাদার পোস্টের পাশাপাশি, সমাজের প্রান্তিক শ্রেণির মানুষেদের কথাও তুলে ধরেন তাঁর পোস্টের মাধ্যমে। ২০২১ সালের নভেম্বরে, এই শিল্পপতি তাঁর ১৭ বছর বয়সের একটি ছবি শেয়ার করেন।
গৌতম আদানি: ফোর্বসের মতে, বর্তমানে এশিয়ার শ্রেষ্ঠ ধনী ব্যক্তির তকমা রয়েছে গৌতম আদানির কাছে। তিনি ইতিমধ্যেই বিমানবন্দর থেকে বন্দর পর্যন্ত এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে বিতরণ পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যবসা পরিচালনা করেন। আদানি এন্টারপ্রাইজ, আদানি গ্রিন এনার্জি এবং আদানি পাওয়ার সহ ভারতে ছয়টি পাবলিকলি ট্রেড কোম্পানি রয়েছে তাঁর। পাশাপাশি, গৌতম আদানি বিভিন্ন জনহিতৈষী কাজের জন্যও সমধিক পরিচিত।
কুমার মঙ্গলম বিড়লা: ভারতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক পরিবারের চতুর্থ প্রজন্মের কর্পোরেট লিডার কুমার মঙ্গলম বিড়লা আদিত্য বিড়লা গ্রুপের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ১৯৯৫ সালে আদিত্য বিড়লা গ্রুপকে অধিগ্রহণ করেন। তখন তাঁর কোম্পানির টার্নওভার ছিল ২ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু কুমার মঙ্গলমের কঠোর পরিশ্রম এবং দৃঢ় সংকল্পের ফলে বর্তমানে কোম্পানির টার্নওভার ৪০ বিলিয়ন ডলারের উপরে পৌঁছেছে।
মুকেশ আম্বানি: রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি ভারতের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হন। ৬৪ বছর বয়সী আম্বানি ২০০৫ সালে তাঁর প্রয়াত পিতার সাম্রাজ্যের অংশ হিসেবে তেল-শোধন এবং পেট্রোকেমিক্যাল ব্যবসার উত্তরাধিকারী হওয়ার পর থেকে খুচরো, প্রযুক্তি এবং ই-কমার্স ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ২০১৬ সালে “Jio”-র মাধ্যমে তিনি টেলিকম সেক্টরেও প্রভাব বিস্তার করেন। এই ছবিতে, মুকেশ আম্বানিকে তাঁর বাবা শ্রী ধিরুভাই আম্বানি এবং ভাই অনিল আম্বানির সাথে দেখা গিয়েছে।
রতন টাটা: আমাদের দেশের অন্যতম বর্ষীয়ান শিল্পপতি হলেন রতন টাটা। তিনি তাঁর উদারতা ও নম্রতার জন্য সকলের কাছেই সমধিক পরিচিত। ১৯৯১ সালে জেআরডি টাটা পদ ছাড়ার পর, রতন টাটা, টাটা সন্সের লাগাম হাতে নেন। তাঁর অনাড়ম্বর জীবনযাপন এবং পরোপকারী মনোভাব সবাইকে আকৃষ্ট করে।