বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সরকারি চাকরির (Government Job) একাধিক সুবিধা রয়েছে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর বেতন বৃদ্ধি, নানান ভাতা, ছুটি সহ বেশ কিছু সুবিধা পান সরকারি চাকরিজীবীরা (Government Employees)। তবে এবার আচমকাই কয়েক হাজার কর্মীর একটি ভাতা (Allowance) বন্ধ করা হল! ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে সেই নির্দেশিকা।
‘এই’ সরকারি কর্মীদের (Government Employees) জন্য খারাপ খবর!
২০২৪ সালে লোকসভা ভোটের আবহে ঘটা করে শহর কলকাতায় রাতের মেট্রো পরিষেবা চালু করা হয়েছিল। তবে এরপর নানান দফায় তাতে বেশ কিছু ‘কাটছাঁট’ করা হয়। নতুন বছরের শুরুতেই আর্থিক ক্ষতির কারণ দেখিয়ে রাত ১০:৪০ মিনিটের মেট্রোয় যাত্রীপিছু ১০ টাকা করে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের নয়া সিদ্ধান্ত!
রাতের মেট্রো পরিষেবার জন্য মেট্রো কর্মীদের (Government Employees) যে অতিরিক্ত কাজের সময় তথা ওভারটাইমের ভাতা দেওয়া হতো, এবার সেটা বন্ধ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। নানান স্টেশনে বিকেল ৪টে থেকে রাত ১২টা অবধি বিশেষ শিফট শুরু করার কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গেই জানানো হয়েছে, দমদম থেকে কবি সুভাষের মধ্যে প্রত্যেকটি স্টেশনে রাতে একজন করে শিফট ইন চার্জের দ্বারা সকল কাজ সামলাতে হবে।
আরও পড়ুনঃ বাংলায় কতগুলি সুপারস্পেশ্যালিটি হাসপাতাল? সোনামুখীতে কী সম্ভব? সংসদে আওয়াজ তুললেন সৌমিত্র খাঁ
ওই কর্মীকে স্টেশনের কাজের পাশাপাশি দরকার পড়লে প্যানেল সামলানোর কাজ করতে হবে। সেই সঙ্গেই স্টেশনের গেট বন্ধের জন্য বাণিজ্যিক বিভাগের একজন সহায়ক কর্মী থাকবে। এছাড়া কবি সুভাষ, মহানায়ক উত্তমকুমার, ময়দান, সেন্ট্রাল ও গিরীশ পার্ক স্টেশনে এক জন করে পয়েন্টম্যান রাখতে হবে বলে জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বহু কর্মীকে নানান স্টেশনে বদলি করা হয়েছে।
এদিকে এই নির্দেশিকা জারি হতেই কর্মীদের (Government Employees) একাংশের মনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। ওভারটাইম ভাতা বন্ধ করায় অনেকেই অসন্তুষ্ট। মেট্রো কর্মীদের একটি অংশের অভিযোগ, বেশি রাতে কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরতে না পারলে পরের দিন ফের সকাল কিংবা দুপুরের শিফটে তাঁদের কাজ করতে হবে।
ইতিমধ্যেই এই নিয়ে মুখ খুলেছেন কলকাতা মেট্রোর (Kolkata Metro) প্রগতিশীল কর্মী ইউনিয়নের সহ সভাপতি শুভাশিস সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, ‘প্রথমে নানান স্টেশনের একাধিক প্রবেশপথ বন্ধ রাখা। এরপর মেট্রো কর্তৃপক্ষ বুকিং কাউন্টার তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরপর যাত্রীপিছু ভাড়া বাড়িয়েছেন। এবার কর্মীদের অতিরিক্ত সময়ের টাকাও তাঁরা বন্ধ করবেন। খরচ কমানোর প্রক্রিয়ার মধ্যে যাবতীয় ক্ষতি শুধুমাত্র মেট্রো কর্মী ও যাত্রীদের স্বীকার করতে হচ্ছে। কর্তাদের পরিকল্পনার ত্রুটির দায় কে নেবে?’
মেট্রো কর্তৃপক্ষ অবশ্য এসব কথায় কান দিতে নারাজ। তাদের বক্তব্য, রাতের মেট্রোয় টিকিট কাউন্টার খোলা থাকে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্মার্ট কার্ডের যাত্রীরাই মেট্রোয় সফর করেন। ফলে কর্মচারীদের (Government Employees) সেই অর্থে কাজের চাপ থাকে না। নীতিগত ভাবে রেল মন্ত্রক বিশেষ দরকার ছাড়া বাড়তি সময়ের ভাতা দিয়ে কাজ করানোর পক্ষপাতী নয়। এখানেই শেষ নয়! তাদের আরও দাবি, যাত্রী পরিষেবার ওপর এই ব্যবস্থা কোনও প্রভাব ফেলবে না।