বাংলাহান্ট ডেস্ক : ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে ভারতবিদ্বেষ বাংলাদেশের (Bangladesh) ‘জাতীয় লক্ষ্যে’ পরিণত হয়েছে। শুধু ভারত নয়, বাংলাদেশে বসবাসকারী বা বিশ্ববরেণ্য হিন্দু সম্প্রদায়ের সাধারণ মানুষ ও মণীষীরাও পড়েছেন মৌলবাদের বিষ নজরে। বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামটুকুও ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে দিতে ‘শপথ’ নিয়েছেন বাংলাদেশের উগ্রপন্থীরা।
বাংলাদেশে (Bangladesh) ব্রাত্য বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্বরা
তবে শুধু বঙ্গবন্ধু নন, বিদ্বেষের বাংলাদেশে (Bangladesh) মুছে যেতে চলেছে বিশ্ব বরেণ্য বৈজ্ঞানিক আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, কবি জীবনানন্দ দাশদের নামও। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (Khulna University) কর্তৃপক্ষ রীতিমতো স্পষ্ট করে দিয়েছেন বদলের বাংলাদেশে আর গুরুত্ব নেই মানবতাবাদী লালন সাঁই, তাজউদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ নজরুল ইসলামের মতো মুক্তিযোদ্ধাদেরও।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এস এম মাহবুবুর রহমান বুধবার নোটিশ জারি করে ১৬ টি ভবনের নাম পরিবর্তনের কথা জানান। তবে মোট ১৯ টি ভবনের মধ্যে ৩ টি ভবনের নাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। সেই তিনটি ভবন মাইকেল মধুসূদন দত্ত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং কাজী নজরুল ইসলামের নামে নামাঙ্কিত। নোটিশে জানানো হয়েছে, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান হল’ ছাত্রাবাসের নাম বদল করে রাখা হয়েছে ‘বীরশ্রেষ্ঠ মহম্মদ রুহুল আমিন হল’।
আরোও পড়ুন : পরপুরুষের সঙ্গে বৌয়ের প্রেম থাকলেও সেটা পরকীয়া নয়! নজিরবিহীন পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের
‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল’ নাম বদলে হয়েছে ‘বিজয় ২৪ হল’। ‘জয় বাংলা ভবন’কে এখন থেকে ‘অ্যাকাডেমিক ভবন ০৪’ নামে সম্বোধিত করা হবে। ‘লালন সাঁই মিলনায়তন’-এর নাম বদলে করা হয়েছে ‘টিএসসি ভবন’। তবে বদলের বাংলাদেশে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট অপরিবর্তিত রেখেছে ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিক্ষা ভবন’, ‘কাজি নজরুল ইসলাম কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার’ এবং ‘মাইকেল মধুসূদন দত্ত অতিথি ভবন’–এর নাম ফলক।
মানবতাবাদী লালন সাঁইকে নিয়েও অস্বস্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মৌলবাদীরা। হেফাজতে ইসলামির রক্তচক্ষুতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে টাঙ্গাইলের মধুপুরে ‘লালন স্মরণোৎসব’। সরকারি অনুমোদন থাকা সত্ত্বেও এই মেলায় বসতে পারেননি বিক্রেতারা। হেফাজতে ইসলামির নেতা মেহমুদুল্লা এই বিষয়ে জানিয়েছেন, “লালনের ভ্রান্ত আদর্শের প্রচার আমরা করতে দেব না।”