বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ একবিংশ শতাব্দীতে ভারতীয় ক্রিকেটের অধিনায়কদের মধ্যে তিনজন তারকা নিজেদের অধিনায়কত্ব দিয়ে ক্রিকেট সমর্থকদের মন জিতে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন। এই তিনজন হলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, মহেন্দ্র সিংহ ধোনি এবং বিরাট কোহলি। সৌরভ ম্যাচ গড়াপেটা কেলেঙ্কারির অন্ধকার থেকে ভারতীয় দলকে বের করে নতুন আলোর দিশা দেখিয়েছিলেন এবং সেইসঙ্গে একটি আইসিসি টুর্নামেন্টে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি হলেন ভারতের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক। তার নেতৃত্বে অনেক ত্বরণ ক্রিকেটের যেমন নিজেকে প্রকাশ করার সুযোগ পেয়েছেন তেমনি তার পাশাপাশি তিনি ভারতকে তিনটি আইসিসির ট্রফি জিতিয়েছেন।
বিরাট কোহলি বাকি দুজনের মতো সফল নন। কিন্তু সৌরভের সময় বিদেশের মাটিতে, বিশেষ করে টেস্টে, প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রেখে লড়াই করার যে প্রবণতা শুরু হয়েছিল, যা পরবর্তীতে ধোনির অধিনায়ক থাকাকালীন হারিয়ে গিয়েছিল সেই প্রবণতাটিকে তিনি ফিরিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু অনেকেই অভিযোগ করেন যে ধোনির নেতৃত্বে এমন কিছু ক্রিকেটার ভারতীয় দলে খেলেছিলেন যাদের পরবর্তীকালে কোহলির অধিনায়ক করতে সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এমন তিন ক্রিকেটারকে নিয়েই আজ আমাদের এই প্রতিবেদন।
১. মোহিত শর্মা: ধোনির নেতৃত্বে ভারতীয় দলে হয়েছিল অভিষেক। ২০১৫ ওডিআই বিশ্বকাপে ভারতীয় স্কোয়াডের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলেন তিনি। কিন্তু ধারাবাহিকতার অভাবে কোহলি জমানায় তাকে আর ভারতীয় দলে দেখা যায় না। কিন্তু তার ওপর বিশ্বাস রাখলে যে ঠকতে হতো না ভারতীয় দলকে সেই প্রমাণ তিনি গত আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সের জার্সি গায়ে হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বে প্রমাণ করে দিয়েছেন।
২. রবি অশ্বিন: ভারতীয় তারকার অভিষেক হয়েছিল ধোনির নেতৃত্বে। কিন্তু কোহলি অধিনায়ক হওয়ার পর তিনি তার বদলে ভারতীয় দলের লেগ স্পিনারদের বেশি গুরুত্ব দিতে শুরু করেছিলেন। যদিও কোহলির সেই প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদি ভাবে সফল হয়নি এবং অচিরেই তাকে রবি অশ্বিনের শরণাপন্ন হতে হয়েছিল অন্তত টেস্ট ফরম্যাটে।
৩. সুরেশ রায়না: মহেন্দ্র সিং ধোনির সবচেয়ে প্রিয়পাত্র ছিলেন সুরেশ রায়না। ধোনির নেতৃত্বে তিনি ছিলেন একজন ম্যাচ উইনার। কিন্তু ২০১৪-১৫ সালে, সুরেশ রায়না অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য টেস্ট স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছিলেন। এরপর আর একটি টেস্টও খেলেননি তিনি। ২০১৭ সালে তিনি শেষবার ভারতীয় দলে তিনটি ওয়ান ডে খেলার সুযোগ পান। ২০১৮ সালে ইংল্যান্ড সফরের পরে, তাকে ভারতীয় দল থেকে সম্পূর্ণরূপে বহিস্কার করা হয়েছিল এবং ২০২০ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা