এই মুহুর্তে ভারতের (india) চাকরির (job) বাজার ভয়ংকর রকম খারাপ। করোনাকালে একের পর এক বন্ধ হয়েছে সংস্থা। বহু সরকারি নিয়োগ রয়েছে স্থগিত আবার বহু ক্ষেত্রে নিয়োগের সংখ্যা উল্লেখজনক ভাবে কমিয়েছে সরকার। এই পরিস্থিতিতে হু হু করে বাড়তে থাকা বেকারত্ব কাঁটায় জর্জরিত যুবসমাজকে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার পথ দেখাচ্ছেন তিন যুবক। উত্তরপ্রদেশের বারানসী জেলার এই তিন যুবক নতুন পদ্ধতিতে চাষ শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ে তোলার স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন।
বারাণসীর চিরগাঁও ব্লকের চৌবাপুর এলাকার নারায়ণপুর গ্রাম সম্প্রতি এই তিন যুবকের কারনে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। তারা এখন এলাকার গ্রামবাসীদের আধুনিক ও উন্নত কৃষিকাজ শেখাচ্ছেন। গ্রামের বাইরে এই তিন তরুণ শিক্ষিত কৃষকরা নিজেদের তৈরি করা ছোট ছোট পুকুরে শ্বেতঙ্ক, রোহিত ও অমিত ঝিনুকের চাষ করছেন। এ ছাড়া তিনজনই মৌমাছি পালন ও ছাগল পালন করছেন।
এক তরুণ কৃষকদের একজন শ্বেতঙ্ক, সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব বলেছিলেন যে, মুক্তোর চাষ সাধারণ কৃষিকাজ থেকে কিছুটা আলাদা। একটি কৃষি উদ্যোগের মাধ্যমে এবং তাদের সহায়তায় তারা মুক্তো চাষ করছে। উচ্চশিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও শ্বেতঙ্ক ঝিনুকের চাষে আগ্রহী ছিলেন। তাই সে ও তার বন্ধুরা ইন্টারনেটে এই সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করে এবং এক জায়গা থেকে প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন।
তারা জানান, প্রতিদিন নতুন নতুন মানুষ তাদের এই নতুন কর্মকান্ডে যোগ দিচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, ঝিনুক থেকে মুক্তা তোলার কাজে তিনগুণ লাভ রয়েছে। তিন বন্ধু নিজেদের সাথে আরো অনেক মানুষকে নিয়ে দেশের কৃষির দিশা পরিবর্তন করতে চান। নিঃসন্দেহে এই বাড়তে থাকা বেকারত্বে এই তিন যুবক অনুপ্রেরণা।