বাংলাহান্ট ডেস্ক: নতুন প্রজন্ম বেছে নিচ্ছে নতুন পেশা। আর তা নিয়ে পুরনো প্রজন্মের অনেকেই চোখও টেরাচ্ছেন। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা ওকালতির পেশা এখন অতীত। তরুণ তরুণীরা উন্নতির চাবিকাঠি খুঁজছে ইউটিউবে (Youtube)। সফলও হচ্ছেন অনেকেই। বং গাই কিরণ দত্ত (Kiran Dutta) থেকে ওয়ান্ডার মুন্না (Wonder Munna), বাঁকুড়া মিমসের উন্মেষ গঙ্গোপাধ্যায় কিংবা স্যান্ডি সাহা। এই সফল ইউটিউবারদের রেজাল্ট দেখলে চমকে যাবেন আপনিও।
কিরণ দত্ত, যিনি বং গাই নামে বেশি পরিচিত, তিনি নিজেই নিজের মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট দেখিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। মাধ্যমিকে লেটার মার্কস পেয়ে বিজ্ঞান নিয়ে পড়েছিলেন কিরণ। এবার প্রকাশ্যে স্যান্ডি, ওয়ান্ডার মুন্নাদের তাক লাগানো রেজাল্ট।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং একই সঙ্গে বিতর্কিত নাম স্যান্ডি সাহা। উদ্ভট ভিডিও বানিয়ে দর্শকদের বিনোদন দেন তিনি। জানলে চমকে যাবেন, স্যান্ডি কিন্তু মাধ্যমিকে ৭৮ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন। উচ্চমাধ্যমিকে সায়েন্স নিয়ে পড়ে পেয়েছিলেন ৬০ শতাংশ। ফিজিওলজিতে স্নাতক পাশ করেছেন তিনি এবং পরিবেশ বিজ্ঞান নিয়ে স্নাতকোত্তর।
সংবাদ মাধ্যমকে স্যান্ডি জানান, ইউটিউবে কেরিয়ার বানালেও প্রাথমিক শিক্ষাটা খুবই প্রয়োজন। তিনি কলেজে পড়াকালীন ইউটিউব শুরু করেছিলেন। প্রথমে ভাললাগা থেকে করতেন। তারপর এটাই বানিয়ে নেন পেশা। গত লকডাউনে এমএসসি পড়া শেষ করেছেন স্যান্ডি।
বাঙালি ইউটিউবারদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় নাম ওয়ান্ডার মুন্না। এই নামের আড়ালে থাকা মানুষটির আসল নাম ইন্দ্রাণী বিশ্বাস। মাধ্যমিকে ৭৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে সায়েন্স নিয়েছিলেন। উচ্চমাধ্যমিকে পান ৬৫ শতাংশ। তবে তিনি স্নাতক পাশ করেন ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে। তারপর স্নাতকোত্তর সাংবাদিকতায়।
‘বাঁকুড়া মিমস’ কে না চেনেন? মিম পেজ বলুন কিংবা ইউটিউব চ্যানেল দুটোই জনপ্রিয় নেটনাগরিকদের মাঝে। বাঁকুড়া মিমসের নেপথ্য কারিগর উন্মেষ গঙ্গোপাধ্যায়ের রেজাল্টও চমকে দেওয়ার মতোই। মাধ্যমিকে তিনি পেয়েছিলেন ৮২ শতাংশ নম্বর। উচ্চমাধ্যমিকে সায়েন্স নিয়ে পান ৬৬ শতাংশ।
মাস কমিউনিকেশন নিয়ে স্নাতক পাশ করেছেন উন্মেষ। তারপর স্নাতকোত্তর। এই ইউটিউবাররা প্রমাণ করে দিয়েছেন, ভাল নম্বর পেলেই মেডিক্যাল বা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে কেরিয়ার বানাতে হবে এর কোনো মানে নেই। শুধু বেসিক এডুকেশন এবং আত্মবিশ্বাস এই দুটোই জরুরি।