ঘাটালে ধরা পড়ল ইংলিশে MA করা চোর, তদন্ত করতে গিয়ে তাজ্জব পুলিশ

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাড়িতে চুরি হয়েছিল, খবর দেওয়া হয়েছিল থানায়। তদন্তে নেমে চোরকে পাকড়াও ও করে পুলিশ। কিন্তু তারপর চক্ষুচড়কগাছ হয়ে যায় পুলিশ আধিকারিকের। শোনেন যে চোর নাকি এমএ পাশ! তাও আবার ইংরেজিতে! এমনই এক ঘটনা ঘটল ঘাটাল পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে কোন্নগরে।

কর্মসূত্রে ঘাটাল (ghatal) পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে কোন্নগরে এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন ঘাটাল বিদ্যুৎ দফতরের কর্মী মহাশ্বেতা দে। তিনি থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন, দিনেদুপুরে তাঁর বাড়িতে তালা ভেঙে লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না চুরি হয়ে গিয়েছে।

তদন্তের স্বার্থে ওই বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীর বাড়িতে যান ঘাটাল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অগ্নিশ্বর চৌধুরী ও ঘাটাল থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার দেবাংশু ভৌমিক। গিয়ে আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেন। এরপর জোরালো তদন্তের ফলে পাকড়াও করেন অভিযুক্ত ব্যক্তি অর্থাৎ চোর সৌমাল্য চৌধুরীকে।

thief

চোরকে পাকড়াও করে ঘাটাল আদালতে তোলা হলে, তাঁর পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত হয়। এই ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত আছে কিনা, তা জেরা করে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে চোর পাকড়াও হতেই, তাঁর জীবন কাহিনী শুনে হতবাক হয়ে যায় পুলিশ অফিসাররা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এম এ পাশ করে খড়গপুরে দক্ষিণ পূর্ব রেলে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে চাকরি করেছিলেন বলে জানিয়েছেন অভিযুক্ত সৌমাল্য চৌধুরী। তাঁর বাবা একজন পূর্ত দফতরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী বলেও জানায় সৌমাল্য।

নিজের বিষয়ে সৌমাল্য জানান, আসানসোলে থাকাকালীন রেলে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে চাকরি পেলেও, তাতে মন ছিল না তাঁর। এরপর সেখানেই স্থানীয় কয়েকজন দুষ্কৃতীর সঙ্গে আলাপ হওয়ায় তাঁদের সঙ্গে চুরি বিদ্যা রপ্ত করে। আর তারপর থেকে ১৭০ টি চুরি করেছে সে। পুলিশের ধারণা, সম্ভবত মানসিক সমস্যা থেকেই এমন কাজ শুরু করে সৌমাল্য।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর