কাঙাল পাকিস্তানে আটার পর এবার মুরগি লুঠ! সেনার সদর দফতরের পাশেই চলল অবিশ্বাস্য ডাকাতি

বাংলাহান্ট ডেস্ক: পাকিস্তানের মানুষের দুর্দশা দিন দিন চরম আকার ধারণ করছে। নিত্য দিনের খাদ্যশস্যের দাম আকাশছোঁয়া (Pakistan Crisis) হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের পক্ষে দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন জোটাতেই নাজেহাল অবস্থা। ইদানিং দেখা গিয়েছিল, আটা-ময়দা পাওয়ার জন্য মানুষের মধ্যে মারামারির ছবি। সরকারি তরফে দেওয়া রেশন পেতে মানুষের ভিড়ের ছবি থেকেই পাকিস্তানের দুরবস্থার চিত্র স্পষ্ট ছিল। 

প্রতিবেশী রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অবস্থার আরও অবনতি হলে কেমন পরিস্থিতি হতে পারে তা অনুমান করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনা বলে দিচ্ছে, ঠিক যেন তেমনটাই ঘটছে। সব জিনিসের দামের সঙ্গেই মুরগির দামও অস্বাভাবিক হারে বেড়ে রয়েছে সে দেশে। এই অবস্থায় একটি পাক মুরগির খামারে বড়সড় চুরির খবর সামনে এসেছে। দুষ্কৃতীদের একটি দল গিয়ে রওয়ালপিন্ডির একটি মুরগির খামার থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার মুরগি চুরি করে পালিয়েছে। 

১২ জনের ওই দুষ্কৃতী দল অস্ত্র দেখিয়ে প্রায় ৫ হাজার মুরগি চুরি করে পালিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার ২৬ জানুয়ারি। পোল্ট্রি মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযোগকারী ওয়াকাস আহমেদ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে ১২ জনের একটি দল তাঁর খামারে হামলা চালায়। দলের সবার হাতেই অস্ত্র ছিল। খামারের তিন কর্মীকে অপহরণ করে বাথরুমে নিয়ে গিয়ে বন্ধ করে দেয়।

Pakistan poultry theft

অভিযোগে তিনি আরও জানিয়েছেন, ২টি মোটরবাইক ও ৩টি মিনিট্রাকে করে সেদিন এসেছিল দুষ্কৃতীরা। খামারের তিন কর্মীকে বাথরুমে বন্ধ করে ওই মিনিট্রাকে অন্তত ৫ হাজার মুরগি নিয়ে পালায়। ওয়াকাস জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীরা প্রত্যেকেই মাস্ক পরে ছিল। জানা গিয়েছে, অপহৃত কর্মীরা সারা রাত বাথরুমেই আটকে থাকেন। পরদিন সকালে গ্রামবাসীরা তাঁদের উদ্ধার করে। এখনও অবধি অভিযুক্তদের হদিশ পায়নি পুলিশ। রওয়ালপিন্ডির ওই মুরগি খামারটি পাকিস্তান সেনার সদর দফতরের কাছেই অবস্থিত।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা প্রতিনিয়ত আরও খারাপ হচ্ছে। একাধিক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, সরকারি তরফে আটা-ময়দা সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। সেই আটা-ময়দা পাহারা দিচ্ছে সশস্ত্র সেনাবাহিনী। কিছু ভিডিওতে মানুষকে খাবারের জন্য মারপিট করতেও দেখা গিয়েছে। একইসঙ্গে গুজরা ওয়ালা এলাকায় এক কিন্নড়কে রেশন দেওয়ার পরিবর্তে সরকারি দফতরে নাচতেও বাধ্য করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে। 

Subhraroop

সম্পর্কিত খবর