বাংলাহান্ট ডেস্ক : বহু গুণে বেড়েছে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের (TMC Leaders) সম্পত্তি। ইতিমধ্যেই দায়ের হয়েছে মামলা। সেই মামলায় পার্টি করা হয়েছে ইডিকে (ED)। এই প্রসঙ্গেই শুক্রবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং অরূপ রায় (Arup Roy)। গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata High court) নির্দেশ দেয়, ওই মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-কে পার্টি করা হোক। এবার আদালতের সেই নির্দেশকেই পুনর্বিবেচনার আর্জি জানালেন তিন মন্ত্রী।
জানা যাচ্ছে, হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে শুক্রবার আর্জি জানান রাজ্যের ওই তিন মন্ত্রী। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে আদালত সূত্রে জানা যাচ্ছে। নেতা-নেত্রীদের সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় গত ৮ অগস্ট তৃণমূলের ১৯ জন নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলায় ইডিকে যুক্ত করে কলকাতা উচ্চআদালত।
রাজ্যের নেতা-নেত্রীদের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে হাই কোর্টে ২০১৭ সালে দু’টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। দুই মামলাকারী অনিন্দ্যসুন্দর দাস এবং বিপ্লবকুমার চৌধুরী সেই সময় তৃণমূলের ১৯ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। মামলাকারীদের অভিযোগ, ২০১১ থেকে ২০১৬— এই ৫ বছরে কী ভাবে এই ১৯ জনের সম্পত্তি এত বৃদ্ধি পেল? সম্পত্তির খতিয়ান হিসাবে দেখানো হয় বিধানসভা ভোটের সময় নির্বাচন কমিশনে দেওয়া ওই নেতাদের হলফনামা।
১৯ জন তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীর তালিকায় নাম রয়েছে ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক, শিউলি সাহা, অমিত মিত্র, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পাশাপাশি রাজ্যের প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সাধন পাণ্ডে, কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। ২০১৭ সালে অনিন্দ্যসুন্দর দাস এবং বিপ্লবকুমার চৌধুরীর করা সেই মামলার সূত্রেই নতুন করে আদালতে আবেদন করেন আইনজীবী শামিম আহমেদ। সেই মামলার সঙ্গেই গত সোমবার ইডিকেও জুড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
২০১৭ সালেই অনিন্দ্যসুন্দরের পাশাপাশি একই সময় আরও একটি মামলা করেন অরিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনিও ৩০ জনের নাম আদালতে জমা দেন। সেখানে সূর্যকান্ত মিশ্র, অধীর চৌধুরীর নাম ছিল। এই মামলার সঙ্গে যুক্ত আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাসের জানান, ‘ওই সময় অরিজিতের মামলায় ইডিকে পার্টি করা হয়েছিল। কিন্তু আমাদের পিটিশনে ইডি ছিল না।’ এখন দেখার কলকাতা উচ্চ ন্যায়ালয় ফিরহাদ-অরূপদের আর্জি মেনে ইডিকে এই মামলা থেকে সরিয়ে দেয় নাকি আগের নির্দেশই বজায় রাখে।