বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে মানুষের তৈরি দূষণ। যার জেরে আরও কাছে এগিয়ে আসছে পৃথিবী ধ্বংসের দিন। গ্লোবাল ওয়ার্মিং এবং আবহাওয়া পরিবর্তনের ফল ঠিক কতখানি মারাত্মক হতে পারে। তারই একটি চিত্র সামনে এলো এবার, জানা গিয়েছে ক্রমাগত বাড়তে থাকা গোবাল ওয়ার্মিংয়ের জেরে ২১০০ সালের মধ্যে একেবারে জলের তলায় চলে যেতে পারে পৃথিবীর ৯ টি বড় বড় শহর। আইপিসিসির ২০২১ এর রিপোর্ট অনুযায়ী ক্রমাগত বেড়ে চলেছে পৃথিবীর তাপমাত্রা। অথচ আবহাওয়া পরিবর্তন নিয়ে কার্যত বহু মিটিং হলেও তার কোন সদর্থক ফল সামনে আসে না।
আর তাই ২০৩০ সাল থেকেই এর ফলাফল ভুগতে শুরু করবে সারা বিশ্ব। আসুন দেখে নেওয়া যাক বিপদ সংকেত রয়েছে কোন কোন শহরের উপর।
১.আমস্টারডামঃ
নেদারল্যান্ডসের এই শহর উত্তর সাগরের অত্যন্ত কাছাকাছি। প্রায় সমুদ্র সমতলে এর অবস্থান। প্রায়শই এই শহর বন্যার সম্মুখীন হয়। যদিও ডাচরা বন্যা প্রতিরোধের জন্য বিখ্যাত। এর জন্য নানা ধরনের ডাইক, বাঁধ, বাধা, লেভি এবং ফ্লাডগেটের ব্যবস্থা করেছে তারা। কিন্তু আগামী দিনে এই শহরের বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে চলেছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
২.বাসরাঃ
ইরাকের একটি প্রধান বন্দর শহর বাসরা। বাসারার পাশেই রয়েছে শাট আল-আরব নদী যা পারস্য উপসাগরে গিয়ে মিশেছে। শুধু তাই নয় শহরের মধ্যে রয়েছে একাধিক খাল এবং নালার জালিকা। যার জন্য এই শহরের অবস্থান শুরু থেকেই ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ।
৩.নিউ অর্লিন্সঃ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অত্যন্ত পরিচিত এবং বিখ্যাত শহর নিউ অর্লিন্স। এই শহরের উত্তরে মাউরেপাস হ্রদ এবং দক্ষিণে সালভাদর হ্রদ এবং লিটল লেক। তাই সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি হলে এই শহর মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
৪.সাভানাঃ
সাভানা শহর, জর্জিয়ার একটি হ্যারিকেন হটস্পটে বসে আছে। আবহাওয়া খুব মারাত্মক বিপজ্জনক না হয়ে উঠলেও এই শহর পুরোপুরি সমুদ্রগর্ভে চলে যেতে পারে। গবেষকদের অনুমান ২০৫০ সালের মধ্যে এই শহরে একটি মারাত্মক হ্যারিকেনের সম্মুখীন হতে চলেছে।
৫.জর্জটাউনঃ
গায়ানার রাজধানী জর্জটাউন সামুদ্রিক ঝড় থেকে সুরক্ষার জন্য বহু শতাব্দী ধরেই একটি ২৮০ কিলোমিটার লম্বা সমুদ্র প্রাচীরের উপর নির্ভর করে আসছে। গায়ানার প্রায় ৯০% মানুষ বাস করেন উপকূলবর্তী এলাকায়। আগামী দিনে তাদের এই প্রাচীরকে আরও মজবুত করতে হবে বলেই মত দর্শকদের।
৬.কলকাতাঃ
২১০০ সালের মধ্যে যে কয়টি শহর সমুদ্র গর্ভে তলিয়ে যেতে পারে তার মধ্যে নাম রয়েছে কলকাতারও। পশ্চিমবঙ্গের এই রাজধানীর পাশ দিয়েই বয়ে গেছে গঙ্গা নদী। বর্ষাকালে কলকাতায় জল জমা অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা। গবেষকদের মতে, আগামী দিনে বর্ষাকালে পরিস্থিতি আরও সংকটজনক হতে চলেছে তিলোত্তমার জন্য।
৭.হো চি মিন সিটিঃ
ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটিও রয়েছে এই তালিকায়। বিশেষত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়ের কারণে এই শহর নিশ্চিত বন্যার কবলে পড়বে আগামী দিনে। এমনকি ২০৩০ সালের মধ্যে এই শহর জলের তলায় তলিয়ে যাবারও সম্ভাবনা রয়েছে।
৮.ভেনিসঃ
সারা বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর শহর গুলির মধ্যে একটি হলো ইতালির ভেনিস। নিউ অর্লিন্সের মত ভেনিসেও বন্যা পরিস্থিতি থেকে সুরক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে ঠিকই। তবে গবেষকদের মতে আগামী দিনে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা আরও বাড়লে ইতালির পক্ষে এই শহরকে বাঁচিয়ে রাখা যথেষ্ট ব্যয়বহুল হবে।
https://twitter.com/TimeOutLondon/status/1455873444109852680?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1455873444109852680%7Ctwgr%5E%7Ctwcon%5Es1_c10&ref_url=https%3A%2F%2Fwww.aajtak.in%2Fscience%2Fphoto%2Fnine-cities-could-be-underwater-by-2030-tstr-1352306-2021-11-04
৯.ব্যাংককঃ
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১.৫ মিটার উপরে অবস্থিত। আর তাই আগামী দিনে এই শহরের ওপর নেমে আসতে চলেছে ঘোর সংকট। অন্তত এমনটাই মত পরিবেশবিদদের।