বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভুয়ো শ্লীলতাহানির অভিযোগে বছরের শুরুতেই জেলের সফর করতে হল জনপ্রিয় নায়ককে। অভিযোগ উঠেছে তাঁকে ফাঁসানোর জন্যই তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলা দায়ের করা হয়েছে। যদিও এখনো পর্যন্ত নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে না পারায় গরদের পেছনেই রয়েছেন তিনি। সবথেকে মর্মান্তিক বিষয় হল, নিজের স্ত্রীও বিশ্বাস করতে পারছেন না স্বামীকে।
জিজ্ঞাসা করছেন এই জনপ্রিয় নায়ক কে? তিনি হলেন সাত্যকি সরকার (satyaki sarkar), ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ এর মুখ্য চরিত্র। অভিনেতা ঋত্বিক মুখোপাধ্যায় (writwik mukherjee) অভিনয় করছেন এই চরিত্রে। তবে উত্তেজিত হবেন না, ঋত্বিক একেবারেই ঠিক আছেন। আসলে পর্দার সাত্যকিই এই বড় বিপদের মুখে পড়েছে।
‘এই পথ যদি না শেষ হয়’তে বছরের শুরুতেই এমন বড় টুইস্ট আনা হয়েছে। আসলে সিরিয়ালে দেখানো হয় নাতনি ও নাতজামাই ঊর্মি সাত্যকিকে উপহার দেওয়ার জন্য একটি বাগানবাড়ি দেখতে দিয়েছেন ঊর্মির দাদু। কিন্তু ঊর্মির মামণি কিছুতেই তা হতে দেবেন না। এমন করলে তো গোটা সম্পত্তিটাই ঊর্মি সাত্যকির দখলে চলে যাবে!
তাই স্বামীকে নিয়ে এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র করেছেন তিনিই। এক পেশাদার মহিলাকে শিখিয়ে পড়িয়ে, মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে সাত্যকির ট্যাক্সিতে তোলেন ঊর্মির কাকা। সুযোগ বুঝে নিজেই নিজের পোশাক ছিঁড়ে চিৎকার করে নির্যাতিতা হওয়ার অভিনয় করে। প্রতারক মহিলার মিথ্যে অভিযোগ শুনে গণপিটুনিও খেতে হয় সাত্যকিকে।
এখানেই শেষ নয়। ঊর্মির কাকা মামণির নির্দেশে পুলিসের কাছে সাত্যকির বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগও দায়ের করেন ওই মহিলা। এদিকে নির্দোষ সাত্যকি গোটা ঘটনাতেই ট্রমার মধ্যে চলে যাওয়ায় প্রথমে স্ত্রী বা বাড়ির কাউকেই বিষয়টা জানায়নি। তাই পরে তাকে পুলিস তুলে নিয়ে গেলে মিথ্যে অভিযোগ শুনে ঊর্মিও অবিশ্বাস করতে শুরূ করে নিজের স্বামীকে।
ঊর্মির কাকা মামণির পরিকল্পনাটাই ছিল এমন। দুজনকে আলাদা করার জন্য, ঊর্মির চোখে সাত্যকিকে নীচু করে দেওয়ার জন্যই এমন নোংরা চক্রান্ত সাজিয়েছেন তারা। আদৌ তারা নিজেদের পরিকল্পনায় সফল হবেন নাকি ঊর্মি সাত্যকির বিশ্বাস ভালবাসাই জয়ী হবে তা জানতে উদগ্রীব দর্শকরাও।