বাংলাহান্ট ডেস্ক : বলিউডের সবথেকে চর্চিত ত্রিকোণ সম্পর্ক সম্ভবত অমিতাভ বচ্চন, জয়া বচ্চন এবং রেখার। এই তিন তারকার মধ্যেকার সম্পর্কের উত্থান পতন নিয়ে সর্বাধিক চর্চা হয়েছে ইন্ডাস্ট্রিতে, এমনকি তা এখনো অব্যাহত। গসিপ এতই চরম আকার ধারণ করেছিল যে পরিচালক যশ চোপড়া এই ত্রিকোণ সম্পর্কের গুঞ্জনকে সিনেমার পর্দায় আনার সিদ্ধান্ত নেন। তৈরি হয় ‘সিলসিলা’ (Silsila)। দীর্ঘ ৪৩ বছর পেরিয়েও যে ছবি একই রকম চর্চিত, প্রাসঙ্গিক।
সিলসিলায় (Silsila) পরভীন ছিলেন প্রথম পছন্দ
অমিতাভ এবং রেখার মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের গুঞ্জন যখন তীব্র, তখনই সিলসিলা (Silsila) তৈরি করেছিলেন যশ চোপড়া। এক ফ্রেমে নিয়ে এসেছিলেন অমিতাভ জয়া এবং রেখাকে। না, পরিচালক নিজে কখনো এই ছবির বিষয়ে কোনো আলাদা মন্তব্য করেননি, তবে দর্শকদের সিংহভাগেরই মত, বাস্তবের পরকীয়াকেই পর্দায় তুলে ধরেছিলেন পরিচালক। শুধুই কি কাস্টিং এর জন্য? তবে জানেন কি, ছবিটা কিন্তু অন্য রকম হতে পারত।
আরো পড়ুন : মুকুটে জুড়ল নয়া পালক, এই বাঙালি পরিচালকের হাত ধরেই বলিউড ডেবিউ লাবণী সরকারের
সত্যি ফাঁস করেন রঞ্জিত
অনেকেই জানেন না, অভিনেত্রী পরভীন বাবি প্রথম পছন্দ ছিলেন সিলসিলা (Silsila) ছবির জন্য। কিন্তু শেষমেষ তাঁকে সরিয়ে নেওয়া হয় জয়াকে। এর জন্য নাকি কেঁদে ভাসিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি অভিনেতা রঞ্জিত এক সাক্ষাৎকারে মুখ খোলেন পরভীনকে নিয়ে। পরভীন বাবি ছিলেন তাঁর খুবই কাছের বন্ধু। এত ভালো মনের মানুষ অথচ খুবই একা ছিলেন তিনি। একবার খুবই মন খারাপ হয়েছিল তাঁর। কেন?
আরো পড়ুন : ফেরার কোনো পথই রইল না, প্রাক্তনের শেষ চিহ্ন শরীর থেকে মুছে সম্পর্ক ভাঙলেন শার্লি!
কেন সরানো হল পরভীনকে
রঞ্জিত জানান, তাঁরা সে সময় কাশ্মীরে ছিলেন। পরভীনকে কাঁদতে দেখে তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন কী হয়েছে। তখনই তিনি সবটা জানতে পারেন। কোনো রকম রাখঢাক না করেই রঞ্জিত বলেন, তাঁর বলতে কোনো ভয় নেই। কারণ এটা সত্যি ঘটনা। সিলসিলা (Silsila) ছবির জন্য প্রথম পছন্দ ছিলেন পরভীন। কিন্তু একটি বোকা বোকা গিমিকের জন্য পরভীনকে সরিয়ে নেওয়া হয় জয়াকে। রেখা এবং অমিতাভের সঙ্গে কাস্ট করা হয়েছিল জয়া বচ্চনকে।
উল্লেখ্য, অমিতাভের সঙ্গে পরভীনের জুটিও সে সময়ে ছিল হট ফেভারিট। দিওয়ার, শান, কালিয়া, অমর আকবর অ্যান্থনির মতো সুপারহিট সব ছবি উপহার দিয়েছিলেন এই জুটি। তবে সিলসিলা হাতছাড়া হওয়ার দুঃখ যে পরভীনের বুকে যে খুব বেজেছিল তা স্পষ্ট হয় রঞ্জিতের কথাতেই।