বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানে বর্তমানে ফের তালেবান শাসন চলছে। তালেবানরা সেদেশে নারীদের ওপর নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। তালেবান ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে প্রথমবারের মতো আফগানিস্তান দখল করেছিল। এ সময় তারা নারীদের ওপর প্রচুর বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল। সেই রাজত্বকালে অনেকের মতোই একটি মেয়ে আফগানিস্তান ছেড়ে ডেনমার্ক পৌঁছেছিল। ডেনমার্কের হয়ে তিনি জাতীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলেছেন এবং শুনলে আশ্চর্য হবেন যে এখন তিনি ফুটবলারের পাশাপাশি ডাক্তারও হয়েছেন। এই আফগানি নারীর নাম নাদিয়া নাদিম।
নাদিয়ার জন্ম আফগানিস্তানের হেরায়। প্রাথমিক শিক্ষাগ্রহণ আফগানিস্তানেই করেছিলেন। তার বাবা আফগান ন্যাশনাল আর্মির একজন জেনারেল ছিলেন যা ২০০০ সালে তালেবানদের হাতে নিহত হয়েছিলেন। বাবাকে হারিয়ে মাত্র ১১ বছর বয়সে দেশ ছাড়েন নাদিয়া। মিথ্যা পরিচয়ে ভ্রমণ করে অনেক শরণার্থী শিবিরে থাকতে হয়েছেন। প্রথমে তিনি পাকিস্তানের করাচিতে পৌঁছান, যেখানে তিনি দুই মাস ছিলেন। এর পরে তিনি ইতালিতে পৌঁছেছিলেন যেখানে তিনি বেশ কয়েকদিন ছিলেন।
এরপর ডেনমার্কের একটি গ্রামীণ এলাকায় শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেন তিনি। সেখানে পৌঁছে শরণার্থী শিবিরে কর্মরত এক প্রহরী ক্ষুধার্ত নাদিয়াকে দুধ, টোস্ট এবং একটি কলা খেতে দেন। নাদিয়া সেই মুহূর্তটিকে তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, এটা আমার জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত ছিল যখন কেউ আমার জন্য কিছু করেছিল। এখানে থাকাকালীন নাদিয়া কিছু মেয়েকে ফুটবল খেলতে দেখেছেন। তিনি ফুটবল খেলতে চেয়েছিলেন কিন্তু কাকে বলবেন তা জানতেন না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত, তিনি সাহস করে সেই দলের কোচের কাছে পৌঁছান এবং তাকে খেলতে দিতে অনুরোধ করেন। সে তখন ইংরেজি জানত না কিন্তু তিনি সেই দলের কোচকে বোঝাতে পেরেছিল যে সে খেলতে চায়।
Thanks to everyone who has been supporting me from day 1, and all new friends I made along the road. I could not have done it without you, and I will forever be grateful for your support ❤️
For the haters, I did it again. Kicked a** and there’s nothing you can do about it! pic.twitter.com/zqdy3kay0b
— Nadia Nadim (@nadia_nadim) January 14, 2022
নাদিয়া সেই কোচকে পাশে পেয়ে খেলতে শুরু করে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বি ফিফটি টু এবং আলবর্গ দলের হয়ে ফুটবল খেলে কেরিয়ার শুরু করেন তিনি। ২০০৯ সালে প্রথমবার ডেনমার্কের ইউনিফর্ম পরার সুযোগ পান তিনি। ফুটবল খেলার সময় নাদিয় পড়াশোনা চালিয়ে যান। পাঁচ বছরের পড়াশোনার পর গত সপ্তাহে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে একজন সার্জন হয়েছেন। টুইট করে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে তিনি সবসময় মানুষকে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন এবং অবশেষে সেই উদ্দেশ্যে সফল হয়েছেন।
“আরও এক ডিভোর্স….”, যুজবেন্দ্র চাহাল ও ধনশ্রী ভার্মার হতে চলেছে বিচ্ছেদ? জল্পনা উস্কে সামনে এল পোস্ট