শুরু হয়নি স্কুলে যাওয়া! তার আগেই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম উঠল কোন্নগরের এই বিষ্ময় বালিকার

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আপাতত তার বয়স মাত্র তিন বছর। এমনকি, ঠিক করে কথাও বলতে শেখেনি সে। এমতাবস্থায়, স্কুলে ভর্তির বয়স না হওয়ায় এখনও শুরু হয়নি স্কুলে যাওয়ার ব্যস্ততাও। যদিও, তার সাথে কথা বললে চক্ষু চড়কগাছ হবে সকলেরই। শুধু তাই নয়, যে বয়সে অন্যান্যরা খেলনা নিয়ে খেলাধূলায় মত্ত থাকে সারাদিন ঠিক সেই বয়সেই এক অনন্য রেকর্ডের (Record) অধিকারীও হয়েছে এই বিষ্ময় বালিকা।

জানা গিয়েছে, এই বয়সেই গড়গড় করে একের পর এক ছড়া বলে যেতে পারে হুগলির (Hooghly) কোন্নগরের কাব্যা কুমার (Kavya Kumar)। পাশাপাশি, পেনসিল হাতে নিয়েও সে মুহূর্তের মধ্যে এঁকে ফেলতে পারে ছবি। এছাড়াও, ইংরেজি বর্ণমালা থেকে শুরু করে পশু, পাখির নাম সহ বিভিন্ন ছড়াও কণ্ঠস্থ করে ফেলেছে সে।

আর এই সবকিছুই নিজে নিজে মোবাইল দেখে শিখে ফেলেছে কাব্যা। এমতাবস্থায়, কাব্যার এহেন বিরল প্রতিভাকে স্বীকৃতি দিল “ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস” (India Book of Records)-ও। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, হুগলির কোন্নগরের বাসিন্দা ধীরাজ কুমার ও দীপিকা কুমারের একমাত্র কন্যা হল কাব্যা। বাবা ধীরাজ কুমার হলেন একজন সেনা কর্মী। তাই, কর্মসূত্রে তিনি জম্মুতে থাকেন। অপরদিকে কাব্যার মা দীপিকা হলেন গৃহবধু।

জানা গিয়েছে, নিজের পড়াশোনা নিয়ে সারাদিন ব্যস্ত থাকে কাব্যা। মূলত, পড়াশোনার প্রতি বিশেষ আগ্রহ রয়েছে তার। যে বয়সে সবাই খেলতে পছন্দ করে, ঠিক সেই বয়সেই কাব্যা আপন করে নিয়েছে বই-খাতা-পেনসিলকে। এমনকি, হাতে পেনসিল নিয়ে একা একাই ছবি এঁকে ফেলতে পারে সে। এমতাবস্থায়, তার এই আশ্চর্য দক্ষতা দেখে অবাক হয়ে যান কাব্যার মা-বাবাও।

1666357119 konnagar child

পাশাপাশি, মেয়ের এই গুণ দেখে কাব্যার মা প্রায় ছ’মাস আগে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে আবেদন জানিয়েছিলেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে চলতি মাসের ১৬ তারিখ কাব্যার বাড়িতে এসে পৌঁছয় ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের শংসাপত্র। এদিকে, ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের মত জায়গায় মেয়ের নাম নথিভুক্ত হওয়ায় স্বভাবতই খুশি হয়েছেন কাব্যার বাবা-মা।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর