বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে চলা মহামারীর ভয়ঙ্কর দাপটে বিপর্যস্ত সকলেই। অদৃশ্য এই মারণ ভাইরাসের প্রকোপে ঘরবন্দিও হতে হয়েছে মানুষকে। সংক্রমণ এড়াতে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন বিধিনিষেধ, বন্ধ হয়েছে বিদেশযাত্রাও। তবে, এই সকল বাধাবিপত্তিতে কি আর থমকে থাকে প্রকৃতি? বিশ্বজুড়ে স্তব্ধতা গ্রাস করলেও খোলা আকাশ যে ছিল উন্মুক্ত! আর সেই আকাশেই মনের আনন্দে এক মহাদেশ থেকে আরেক মহাদেশে উড়ে বেরিয়েছে এক বাজপাখি!
শুধু তাই নয়, মাত্র ৪২ দিনেই পাখিটি অতিক্রম করেছে দীর্ঘ ১০ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি পথ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ওই পাখিটির উড়ানসংক্রান্ত তথ্য নথিবদ্ধ করার জন্য সেটির গায়ে একটি ট্রান্সমিটার বসানো হয়। যেটি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে নিয়মিত ট্র্যাক করা হচ্ছিল। আর সেখান থেকেই জানতে পারা গিয়েছে অদ্ভুত এই ঘটনা সম্পর্কে।
দেড় মাসেরও কম সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ইউরোপ পর্যন্ত সফর করে ওই বাজপাখিটি। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিনল্যান্ডের দূরত্ব প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার এবং এই পাখিটি প্রতিদিন প্রায় ২৩০ কিলোমিটার গতিতে উড়ে এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশে পৌঁছে যায়।
পাশাপাশি, আরও জানা গিয়েছে যে, বিশ্বের দ্রুততম পাখিদের মধ্যে অন্যতম এই বাজপাখি তার গতিপথের মধ্যে ইউরোপের উপর দীর্ঘক্ষণ উড়েছিল। অপরদিকে, আফ্রিকা মহাদেশে পাখিটি অল্প দূরত্বে উড়ে কিছুটা থেমে থেমে ফিনল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। বারবার থামার প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, একটি জীবের সর্বোচ্চ কার্যক্ষমতার উপর ভিন্ন আবহাওয়া এবং তাপমাত্রা কতটা প্রভাব ফেলে এটা তারই উদাহরণ।
সম্প্রতি @latestengineer নামক একটি টুইটার হ্যান্ডেল থেকে এই ঘটনার পুরো ভিডিওটি শেয়ার করা হয়। ইতিমধ্যেই ভিডিওটি ভাইরালও হয়েছে। প্রায় ৪৫ হাজারেরও বেশি মানুষ এতে লাইক করেছেন এবং ৮ হাজারেরও বেশি জন এটিকে রিটুইট করেছেন। পাখিটির গতিপথে সেটি যেভাবে বুদ্ধিমত্তার সাথে সমুদ্রযাত্রাকে এড়িয়ে গিয়েছে সেটির প্রশংসা করেছেন সকলেই। উল্লেখ্য যে, অন্যান্য পাখির তুলনায় বাজপাখি অনেক দ্রুত এবং দীর্ঘক্ষণ উড়তে পারে। পাশাপাশি, ওড়ার সময় তাদের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। যে কারণে বাজপাখিকে বিশ্বের অন্যতম দ্রুত প্রাণী হিসেবেও গণ্য করা হয়।