বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচনে হটস্পট ছিল নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সেবার ওই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। লড়াই ছিল শেয়ানে শেয়ানে। অল্পের জন্য জয় হাতছাড়া হয় তৃণমূল নেত্রীর।
নন্দীগ্রামে হারের পর এবার ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে লড়ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এই কেন্দ্র থেকে জয় নিশ্চিত করে মুখ্যমন্ত্রীত্ব টিকিয়ে রাখাই ওনার কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নন্দীগ্রামের মতো হাইভোল্টেজ লড়াই ভবানীপুরে আর দেখা যাবে না। কারণ অভূতপূর্ব জয় হাসিল করে ক্ষমতায় ফেরা তৃনমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘরের আসন ভবানীপুরে হারানো সহজ নয়।
এছাড়াও, ক্ষমতায় থাকা দলকে হারিয়ে উপনির্বাচনে জয়লাভ করা বিরোধীদের কাছে অনেকটা আকাশকুসুমের মতো। তারপরে আবার ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী দেবে না বলে আগেই ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। সিপিএমও দোটানায় রয়েছে। ফলে ভোট কাটাকুটির প্রশ্নই থাকছে না।
আর এর মধ্যে ভবানীপুরে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যখন বিজেপির প্রার্থী কে হবে সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, তখন বিজেপির নেতা তথা বাংলার স্বনামধন্য অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ ওই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। উল্লেখ্য, নির্বাচনে হারের পর ভবানীপুরে আনাগোনা বেড়েছিল রুদ্রনীলের, আর এবার তিনি নিজে থেকেই ওই কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন। যদিও, দলের তরফ থেকে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
রুদ্রনীলবাবু জানিয়েছেন, তিনি ভবানীপুরে বিজেপির হয়ে লড়তে প্রস্তুত। কারণ লড়াইটা ব্যক্তি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নয়, লড়াইটা হল তৃণমূলের একজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে। দল চাইলে আমি ওই কেন্দ্রে দাঁড়াব।
উল্লেখ্য, রুদ্রনীল ঘোষ একুশের নির্বাচনেও ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন। সেবার তিনি পরাজিত হয়েছিলেন। আর এবার আবারও আত্মবিশ্বাসী হয়ে তিনি ওই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হতে চান।