বাংলাহান্ট ডেস্ক : সত্তর আশির দশককে বলিউড ‘সুপারস্টার যুগ’ বললে খুব একটা ভুল বলা হবে না। একদিকে রাজেশ খান্না, অমিতাভ বচ্চন, অন্যদিকে ধর্মেন্দ্র, বিনোদ খান্নার মতো অভিনেতারা (Actor)। স্টারডমের টক্করে এ বলে আমায় দেখ, ও বলে আমায় দেখ। এই তারকাদের সঙ্গেই উচ্চারিত হত আরো একটি নাম। তিনি এমন একজন অভিনেতা (Actor) ছিলেন, যিনি নায়কের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ পার্শবর্তী চরিত্রে অভিনয় করেও পাকাপাকি ছাপ রেখেছেন বলিউডে।
বহু ছবিতে কাজ করেছেন অভিনেতা (Actor)
অত্যন্ত সুদর্শন ছিলেন অভিনেতা (Actor)। কাজ করেছেন সুচিত্রা সেন, মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের মতো বাঙালি নায়িকাদের সঙ্গেও। তাঁর অভিনীত একাধিক চরিত্র ‘ক্লাসিক’ হয়ে রয়েছে বলিউডি ইতিহাসে। তিনি সঞ্জীব কুমার। সীতা অউর গীতা, কোশিশ, অনামিকা, শোলে, আঁধি, ত্রিশূল, অঙ্গুর এর মতো বহু ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
নিজের মৃত্যু সম্পর্কে করেছিলেন ভবিষ্যদ্বাণী: সঞ্জীব কুমারের ছবি মুক্তি পাওয়া মাত্রই দর্শক উপচে পড়ত প্রেক্ষাগৃহে। কেরিয়ারে সাফল্যের শীর্ষে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু খ্যাতির চূড়ায় থাকতেই মৃত্যু হয় অভিনেতার (Actor)। সবথেকে অদ্ভূত বিষয় হল, নিজের মৃত্যুর পূর্বাভাস তিনি নিজেই পেয়েছিলেন। নিজের আয়ু সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন তিনি।
আরো পড়ুন : পূর্ণতা পায়নি ভালোবাসা, আজও এই প্রেমিকাকে ভুলতে পারেননি বিবেক ওবেরয়, তিনি কিন্তু ঐশ্বর্য নন!
বেশি বয়সের চরিত্রে অভিনয় করতেন: একবার এক সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন করা হয়েছিল সঞ্জীব কুমারকে, যেখানে নায়করা নিজের বয়স আড়াল করে, দীর্ঘদিন পর্যন্ত পর্দায় ‘ইয়াং’ থাকতে চান। সেখানে তিনি কেন নিজের আসল বয়সের তুলনায় বেশি বয়সের চরিত্রে অভিনয় করেন? উত্তরে সঞ্জীব বলেছিলেন, বাস্তব জীবনে কখনোই বার্ধক্য দেখতে পাবেন না তিনি। তাঁর পরিবারের পুরুষদের মতো তিনিও ৫০ বছরের বেশি বাঁচবেন না। তাই অভিনয়ের মাধ্যমে পর্দাতেই বার্ধক্য অনুভব করতে চান তিনি।
আরো পড়ুন : ‘ডিডিএলজে’র জন্য প্রথম পছন্দ ছিলেনই না শাহরুখ! পরিচালক বেছেছিলেন এই হলিউড অভিনেতাকে, কিন্তু…
সঠিক আভাসটাই পেয়েছিলেন সঞ্জীব কুমার। সত্যিই ৫০ পূর্ণ হওয়ার আগেই মৃত্যু হয় তাঁর। ১৯৮৫ সালের ৬ ই নভেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মুম্বইতে প্রয়াত হন অভিনেতা।