বাংলাহান্ট ডেস্ক: দেশের সবথেকে বড় বিনোদন ইন্ডাস্ট্রি বলিউড (bollywood)। আঞ্চলিক ক্ষেত্রে বহু ইন্ডাস্ট্রি থাকলেও মুম্বই নগরী নিয়ে স্বপ্ন দেখে প্রত্যেক অভিনেতা অভিনেত্রী। সাধে কি প্রত্যেক বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এসে ওঠে মুম্বইতে, তারকা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে? শুধু দেশের মধ্যে থেকেই নয়, বিদেশ থেকে এসেও বলিউডে পাকাপোক্ত জায়গা করে নিয়েছে এমন উদাহরণও রয়েছে। আবার হলিউডে গিয়ে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন এমন অভিনেতা অভিনেত্রীরাও রয়েছেন।
বলিউড এমনি একটি ইন্ডাস্ট্রি যেখানকার ছবি গিনিজ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেও (guinness book of world records) জায়গা করে নিয়েছে। এমনি একটি ছবি হল ‘লভ অ্যান্ড গড’ (love and god)। বলিউডে প্রত্যেক বছর কয়েকশো ছবি তৈরি হয়। কিছু কিছু ছবি তৈরি করতে লেগে যায় দু তিন বছর, আবার কিছু কিছু ছবি কয়েক মাসেই তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু কোনো ছবির জন্য ২৩ বছর! শুনতে অবাক লাগলেও বাস্তবেই এমন ছবি রয়েছে বলিউডে যা তৈরি হতে লেগে গিয়েছিল ২৩ বছর!
১৯৮৬ সালে মুক্তি পেয়েছিল পরিচালক কে আসিফের ছবি ‘লভ অ্যান্ড গড’। সে সময় সর্বত্র এই ছবিই চর্চায় ছিল। ২৩ বছর ধরে বানানো হচ্ছে একটি ছবি! কী এমন আহামরি থাকতে পারে ছবিতে যার জন্য এত সময় লাগল? প্রশ্নের উত্তর পেতে ছবি মুক্তির পরপরই হলে ভিড় জমিয়েছিল দর্শক। লায়লা মজনুর অমর প্রেম গাথা ছিল এই ছবির বিষয়বস্তু।
সঞ্জীব কুমার ছিলেন মজনুর চরিত্রে এবং নিম্মিকে দেখা গিয়েছিল লায়লার ভূমিকায়। ১৯৬৩ সালে ছবির শুটিং শুরু হয়। প্রথম থেকেই নানান ঘটনাবহুল ছিল এই ছবির শুটিং কাহিনি। মজনুর চরিত্রে প্রথমে নির্বাচন করা হয়েছিল অভিনেতা গুরু দত্তকে। কিন্তু পরের বছরই প্রয়াত হন তিনি। এরপর বেশ কয়েক বছর বন্ধ ছিল শুটিং।
চার বছর পর সঞ্জীব কুমারকে নেওয়া হয় মুখ্য চরিত্রে। কিন্তু বেশিদিন চলেনি শুটিং। এর পরপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন পরিচালক। ১৯৭১ এ প্রয়াত হন তিনি। উল্লেখ্য, এই ছবিই কে আসিফের কেরিয়ারের শেষ পরিচালিত ছবি। আট বছরে মাত্র ১০ শতাংশ ছবির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছিল। পলিচালকের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী এই ছবিটিকে সম্পূর্ণ করেন। কিন্তু ছবির একাধিক অভিনেতা অভিনেত্রীই মুক্তির দিন দেখে যেতে পারেননি।