বাংলাহান্ট ডেস্ক : চাকরি-বাকরির যা আকাল, তাতে ব্যবসা (Business) করার দিকে অনেকেই ঝুঁকছেন। কিন্তু কি ব্যবসা করলে লাভবান হওয়া যাবে তা অনেক সময় ভেবে পান না উদ্যোগীরা। তাই ওল্ড ইজ গোল্ড, এই কথা মাথায় রেখে কয়েক দশকের চেনা পরিচিত এমন এক ব্যবসার কথা আজ আলোচনা করতে চলেছি যাতে কিনা ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ মুনাফা তোলা সম্ভব।
বই-খাতা সংক্রান্ত স্টেশনারি ব্যবসা সম্পর্কে অনেকেই অবগত রয়েছে। ছোট শহর বা বাজার সংলগ্ন স্কুলের কাছাকাছি এলাকায় স্টেশনারি ব্যবসা করা যেতে পারে। স্টেশনারি দোকানে খাতা, বই, পেম, ইরেজার, শার্পনার, পেন্সিল, নোটপ্যাড, A4 সাইজের কাগজ থেকে শুরু করে সেলোটেপ, আঠা, গ্রিটিং কার্ড, বিয়ের কার্ড, গিফট কার্ড থেকে শুরু করে বোর্ড সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র রাখতে পারেন।
আরোও পড়ুন : মালগাড়ির সর্বোচ্চ বেগ সম্পর্কে ধারণা আছে আপনার? জেনে নিন রেলের আসল নিয়ম
চাইলে স্কুলের বই বিক্রি করতে পারবেন, তাতে ব্যবসা আরো বাড়বে। স্টেশনারি জিনিসপত্রের প্রয়োজনীয়তা সব সময়। মনে রাখবেন, স্টেশনারি দোকান খুলতে চাইলে আগে ‘শপ অ্যান্ড এস্টাব্লিসমেন্ট অ্যাক্ট’-এর আওতায় রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। স্টেশনারি দোকান খোলার জন্য ৩০০ থেকে ৪০০ স্কয়ার মিটার জায়গা প্রয়োজন। অল্প বিনিয়োগেই শুরু করতে পারবেন এই ব্যবসা।
আরোও পড়ুন : ‘৬ দিনের মধ্যে..,’ ভরা এজলাসে চরম ক্ষুব্ধ বিচারপতি সিনহা, এল বিরাট নির্দেশ
তাই এই ব্যবসা করলে বিপুল টাকা আয় করা সম্ভব। স্টেশনারি দোকান খুলতে প্রায় ১০ হাজার টাকা হলেই হয়। সবচেয়ে বড় কথা হলো, স্টেশনারি দোকান খুলে বসলেই হল না। সবার আগে পরিকল্পনা করতে হবে কোন জায়গায় আপনি দোকান করতে চান বা কোন জায়গায় দোকান করলে আপনার লাভ হবে। মূলত বাজার সংলগ্ন এলাকা বা বিদ্যালয়ের কাছে এই দোকান করা উচিত।
যদি ব্র্যান্ডেড প্রোডাক্ট বিক্রি করতে চান তাহলেও কিন্তু ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত লাভ করা সম্ভব। স্টেশনারি দোকানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় মার্কেটিং। দোকানের নাম-সহ ল্যান্ড বিল ছাপিয়ে নিতেই পারেন। স্কুল, কোচিং ইনস্টিটিউট এবং কলেজে গিয়ে দোকান সম্পর্কে প্রচার করতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে অনলাইনেও দোকানের বিজ্ঞাপন দিয়ে তরুণ প্রজন্মের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যেতেই পারে।