বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অপেক্ষা আর মাত্র কয়েক ঘন্টার তারপরেই বিশ্বকাপের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত এবং পাকিস্তান। বিরাট এবং বাবরদের এই লড়াই দেখার জন্য প্রায় দু’বছর ধরে অপেক্ষা করছেন সমর্থকরা, শুধু টি-টোয়েন্টির নিরিখে দেখতে গেলে সময়টা পাঁচ বছরেরও বেশি। যদিও বিশ্বকাপে ভারতের পাল্লা কিছুটা ভারী, কিন্তু বড় ম্যাচের চাপের কাছে এই রেকর্ড মনোবৈজ্ঞানিক আত্মতুষ্টি ছাড়া আর যে কোনও কাজে আসবে না তা বলাই বাহুল্য।
বিশেষত আজ দুবাইতে বড় হয়ে উঠতে পারে শিশির ফ্যাক্টর, রাহানের মত অনেক বর্ষিয়ান খেলোয়াড়ই মেনে নিয়েছেন আইপিএলের প্রথম দিকে রাতের ম্যাচগুলিতে শিশির সেভাবে প্রভাব না ফেললেও দিন যত গড়িয়েছে ততই আবহাওয়া বদলের সাথে সাথে শিশিরের প্রভাবও বড় হয়ে উঠেছে। যার ফলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে টস। ভারতের সামনে এছাড়াও যথেষ্ট চিন্তার অবকাশ রয়েছে ষষ্ঠ বোলার কে হবেন তাই নিয়ে। হার্দিক পান্ডিয়া সম্পর্কে বলতে গিয়ে ইতিমধ্যেই বিরাট জানিয়েছেন খুব প্রয়োজন না হলে বল করবেননা হার্দিক। তাই প্রথম একাদশ কি হবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
অনেকেই মনে করছেন, রবীচন্দ্রন অশ্বিন, বরুণ চক্রবর্তীর মধ্যে একজন খেলোয়াড়কেই সুযোগ দেওয়া হবে মূল একাদশে। কারণ ভারত হয়তো তিনজন জোরে বোলার নিয়ে খেলতে চাইবে এই ম্যাচে, এক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে রবীন্দ্র জাদেজার জায়গা পাকা হয়ে যাওয়ায় প্রতিযোগিতা হবে বরুণ চক্রবর্তী এবং রবীচন্দ্রন অশ্বিনের মধ্যেই। তৃতীয় জোরে বোলার কে হবেন তাই নিয়েও চিন্তার অবকাশ থাকছে। প্রস্তুতি ম্যাচে সেভাবে ভালো বোলিং করতে পারেননি ভুবনেশ্বর, অন্যদিকে শার্দুল ঠাকুর আইপিএলেও যথেষ্ট ভাল পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন, এছাড়া ব্যাট হাতেও ভুবনেশ্বরের থেকে বেশি ভরসাযোগ্য তিনিই। আর তাই অনেকেই মনে করছেন দলে সুযোগ পেয়ে যেতে পারেন শার্দুল।
ভারতের সম্ভাব্য একাদশঃ
রোহিত শর্মা, কেএল রাহুল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, ঋষভ পন্থ, হার্দিক পান্ড্য, রবীন্দ্র জাদেজা, রবীচন্দ্রন অশ্বিন/বরুণ চক্রবর্তী, মহম্মদ শামি, জাসপ্রিত বুমরাহ, ভুবনেশ্বর কুমার/শার্দুল ঠাকুর।
ভারতের একাদশ নিয়ে কিছুটা চিন্তা থাকলেও পাকিস্তানের একাদশ নিয়ে সেভাবে কোনও চিন্তার অবকাশ নেই। ইতিমধ্যেই যেমন পাকিস্তান ১২ জনের দল ঘোষণা করেছে, তেমনই হাফিজ পর্যন্ত দেখতে গেলে ৭ জন বোলিং অপশন থাকছে বাবর আজমের কাছে। তার ওপর প্রয়োজনে বল করতে পারবেন শোয়েব মালিকও। তাই অন্তত বোলিংয়ের দিক থেকে পাকিস্তানের হাতে অপশন অনেকটাই বেশি থাকবে। বিশেষত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একাধিক বোলিং অপশন থাকা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কখন কোন বোলার মার খেয়ে যাবেন তা বলা যায় না। ভারতের ক্ষেত্রে এমনকি বিরাট কোহলিকে বল হাতে ১-২ ওভার দেখা গেলেও আশ্চর্য হবার কিছু নেই।
পাকিস্তানের সম্ভাব্য একাদশঃ
বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান, ফখর জামান, মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক, আসিফ আলী, ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান, হারিস রউফ, হাসান আলী, শাহীন শাহ আফ্রিদি।