Indian Railways: উল্টে গেল চিনা কোম্পানির চাল! ভারতীয় রেলের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করে ফাঁসল নিজেরাই

বাংলা হান্ট ডেস্ক: মাত্রাতিরিক্ত চতুরতা প্রদর্শন করতে গিয়েই এবার ফেঁসে গেল একটি চিনা কোম্পানি। শুধু তাই নয়, রীতিমতো নিজের পাতা ফাঁদেই পা দিয়ে ফেলেছে ওই কোম্পানিটি। জানা গিয়েছে যে, চিনা সংস্থাটি ২ বছর আগে চুক্তি বাতিল হওয়ায় ক্ষতির কারণ দেখিয়ে ভারতীয় রেলের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়েছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে Dedicated Freight Corridor Corporation of India Limited (DFCCIL) উল্টে ওই চিনা কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে।

এই প্রসঙ্গে রেলওয়ে সূত্রে জানা গিয়েছে যে, আপাতত এই বিষয়টি আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের বিবেচনাধীন রয়েছে। মূলত, Dedicated Freight Corridor Corporation of India Limited ২০২০ সালে ওই চিনা সংস্থার সাথে চুক্তি বাতিল করেছিল। যার মূল্য ছিল প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। এদিকে, DFCCIL সূত্রে জানা গিয়েছিল যে, কাজের দেরি হওয়ার কারণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।

ব্যাপারটা ঠিক কি: জানা গিয়েছে, চায়না রেলওয়ে সিগন্যালিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন (China Railway Signalling and Communication, CRSC) নামের ওই চিনা কোম্পানি ভারতের কানপুর এবং মুঘলসরাই (বর্তমানে দীনদয়াল উপাধ্যায়) স্টেশনের মধ্যে সিগন্যালিং এবং কমিউনিকেশন সিস্টেমের স্থাপনের জন্য একটি চুক্তি পায়। ৪১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রুটের চুক্তির মূল্য ছিল ৪৭১ কোটি টাকা।

যদিও, ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতির কারণে ২০২০ সালে এই চুক্তিটি বাতিল করেছিল DFCCIL। এই প্রসঙ্গে কর্পোরেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট রুটে ওই কোম্পানির কাজ এগোচ্ছিল না। যার কারণে এই চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। এদিকে, চিনা কোম্পানিটি এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জানায়। শুধু তাই নয়, সামগ্রিক ক্ষতির কারণ দেখিয়ে ২৭৯ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণও চেয়েছে তারা।

rail

ভারতীয় পক্ষও দিয়েছে জবাব: এদিকে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, ভারতীয় পক্ষও আক্রমনাত্মক জবাব দিয়েছে। সর্বোপরি, নির্ধারিত কাজে দেরি করার কারণে ক্ষতির ভিত্তিতে, DFCCIL ওই কোম্পানির কাছে ৭১ কোটি টাকা দাবি করেছে। আপাতত এই বিষয়টি সিঙ্গাপুরে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের নিয়মের ভিত্তিতে নিষ্পত্তি করা হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ২০২০ সালে একাধিক চিনা কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। মূলত, জাতীয় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এরপর থেকে চিনা কোম্পানিগুলির বিনিয়োগ ও ব্যবসা সংক্রান্ত নিয়মকানুনও কঠোর করা হয়েছে।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর