বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার ভারতের প্রলয় মিসাইল (Pralay Missile) কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছে মিশর (Egypt)। ইতিমধ্যেই এই প্রসঙ্গে মিশরের সামরিক উৎপাদন মন্ত্রক ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (Defence Research and Development Organisation, DRDO) সাথে আলোচনা করেছে বলেও জানা গিয়েছে। মিশর ট্রান্সফার অফ টেকনোলজির আওতায় এই ক্ষেপণাস্ত্রটি কিনতে চায়। উল্লেখ্য যে, প্রলয় হল ভারতের একটি স্বল্প-পাল্লার সারফেস টু সারফেস ব্যালিস্টিক মিসাইল। ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারতের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা কর্মসূচির অধীনে তৈরি করা এক্সোঅ্যাটমস্ফিয়ারিক ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্র পৃথ্বী ডিফেন্স ভেহিক্যাল এবং প্রহার ট্যাকটিক্যাল ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নত প্রযুক্তির সংমিশ্রণ হিসেবে তৈরি হয়েছে।
ট্যাকটিক্যাল রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে: এই প্রসঙ্গে উপসাগরীয় দেশগুলির বিখ্যাত প্রতিরক্ষা ওয়েবসাইট ট্যাকটিক্যাল রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, মিশরের সামরিক উৎপাদন মন্ত্রক এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির বিষয়ে ইতিমধ্যেই DRDO-র সঙ্গে আলোচনা করেছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, মিশর প্রলয় ক্ষেপণাস্ত্রের প্রযুক্তি হস্তান্তরের অনুরোধ জানিয়েছে। পাশাপাশি, তারা দেশীয়ভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির অনুমতিও চেয়েছে। তবে ভারতের পক্ষ থেকে এই চুক্তির বিষয়ে কোনো অফিসিয়াল তথ্য দেওয়া হয়নি।
২০২২ সালে ভারত ও মিশরের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ২০২২ সালে ভারত এবং মিশরের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করার জন্য একটি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছিল। যেটিতে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং মিশরের পক্ষ থেকে জেনারেল মোহাম্মদ জাকি স্বাক্ষর করেন। এরপর দুই দেশের প্রতিরক্ষা সম্পর্কে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গৃহীত হয়। এদিকে, এবার ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি করা হয়েছে মিশরের রাষ্ট্রপতি আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসিকে। এমতাবস্থায়, তাঁর ভারত সফরে প্রতিরক্ষা খাতে একাধিক চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রলয় ক্ষেপণাস্ত্রের রেঞ্জ হল ১৫০ থেকে ৫০০ কিমি: উল্লেখ্য যে, প্রলয় মিসাইল সম্পর্কিত প্রকল্পটি ২০১৫-র মার্চ মাসে ৩৩২.৮৮ কোটি টাকার বাজেটের সাথে অনুমোদিত হয়েছিল। সেটি DRDO-র রিসার্চ সেন্টার দ্বারা ডিজাইন করা হয়েছে। প্রলয় মিসাইলের ওজন ৫ টন। এতে ওয়ারহেড হিসেবে ৩৭০ থেকে ৭০০ কেজি হাই এক্সপ্লোসিভ মেটিরিয়াল ভর্তি করা হয়েছে।
এই ক্ষেপণাস্ত্রের শক্তি উৎপন্ন করতে তৃতীয় পর্যায় হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে দুই স্টেজের রকেট মোটর এবং একটি ম্যানুভারেবল রিএন্ট্রি ভেহিক্যাল। পাশাপাশি, প্রলয় মিসাইলের অপারেশন রেঞ্জ হল ১৫০ থেকে ৫০০ কিমি। এছাড়াও, এই ক্ষেপণাস্ত্রটি টার্মিনাল পর্বে Mach ১ থেকে Mach ১.৬ গতিতে পৌঁছতে পারে।