Bnagla Hunt Desk: ধর্ষকের (Rapist) একমাত্র শাস্তি হল মৃত্যুদণ্ড অথবা নপুংসক (Eunuch), এমনটাই মনে করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কিন্তু এদিকে আবার জনসমক্ষে ফাঁসি দিলে পাকিস্তান জিএসপির আওতায় ইউরোপীয় ইউনয়নের ব্যবসায়িক সুবিধা বঞ্চিত হতে পারে। সেই কারণে নপুংসক করার সিদ্ধান্তকেই পাক সরকার বাস্তবায়িত করার চিন্তা ভাবনা করছেন।
ধর্ষকের শাস্তি নপুংসক
পাক সরকারের এই ভাবনা তাঁর পূর্বেই বাস্তবায়িত করল নাইজেরিয়া। আফ্রিকার এই দেশটিতে গত জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ার কারণে নাইজেরিয়ার কাদুনার (Kaduna) রাজ্য সরকার এই আইন পাস করেছে। পূর্বে কাদুনায় ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। কিন্তু চলতি সপ্তাহেই তা বদলে এই নতুন আইন কার্যকর করা হয়েছে।
কার্যকর হতে চলেছে নতুন আইন
পূর্বের আইনে বলা ছিল, কোন ব্যক্তি যদি কোন প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে ধর্ষণ করে, তাহলে তাঁকে ২১ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে ছিল মৃত্যুদণ্ডের আদেশ। তবে নতুন আইনেও শিশুদের ধর্ষণের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড অবধারিত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ১৪ বছরের কম বয়সি কাউকে ধর্ষণের ক্ষেত্রে, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণিত হলেও তাঁর সাজা মৃত্যুদণ্ড। নতুন সংযোজন হয়েছে, অন্যন্য ক্ষেত্রে ধর্ষকদের অস্ত্রোপচার করে নপুংসক করে দেওয়া হবে।
কাদুনার গভর্নর নাসির আহমেদ আল রুফাই (Nasir Ahmed Al Rifai)-এর কথায়, এই নয়া আইনে আশা করা যাচ্ছে শিশুদের ধর্ষণ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা যাবে। এই ধরনের শাস্তির প্রয়োজন ছিল, এর কোনও বিকল্প হয় না। বিগত ৫ মাসে ৮০০- এরও ধর্ষণের অভিযোগ জমা পড়ায়, কাদুনার রাজ্য সরকার এই নতুন আইন পাস করে।
পাক সরকারের সিদ্ধান্ত
এদিকে আবার পাক সরকার ইমরান খান মনে করেন, ‘হত্যা মামলার ক্ষেত্রে যেমন অপরাধের উদ্দেশ্য ও ধরন বিবেচনা করে অপরাধ প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় ক্যাটেগরির ভিত্তিতে দেওয়া হয়, তেমনই ধর্ষণের অভিযোগের বেলায় এমনটা করা যেতে পারে। যার প্রথম ক্যাটেগরির অপরাধের শাস্তি- রাসায়নিক প্রয়োগে ধর্ষককে নপুংসক করে দেওয়া যেতে পারে। যাতে সে নিজেকে সংযত রেখে, এইধরনের জঘন্য অপরাধ দ্বিতীয়বার করার সাহস না পায়’।
তৃণমূলের গৃহযুদ্ধ! কল্যাণের ‘মাথায় কার হাত!’ মন্তব্যের পাল্টা দিলেন তৃণাঙ্কুর