বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভিসা প্রদানে আবারও কড়াকড়ি। অস্থায়ীভাবে মোট ১৪ টি দেশের নাগরিকদের উমরাহ, ব্যবসা এবং পারিবারিক ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দিল এই দেশের সরকার। উল্লেখযোগ্য ভাবে এই ১৪ টি দেশের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ (Bangladesh) এবং পাকিস্তান। অন্তত জুন মাস পর্যন্ত ভিসা প্রদান স্থগিত থাকবে বলে জানা গিয়েছে কূটনৈতিক সূত্রে। কিন্তু হঠাৎ ভিসা নিয়ে কেন এমন কড়াকড়ি?
বাংলাদেশ (Bangladesh) সহ একাধিক দেশে ভিসা নিষেধাজ্ঞা
জানিয়ে রাখি, মোট ১৪ টি দেশের প্রতি অস্থায়ী ভাবে ভিসা প্রদানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সৌদি আরব। এই দেশগুলির তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh), পাকিস্তান, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, নাইজেরিয়া, জর্ডান, আআলজেরিয়া, ইথিওপিয়া, সুদান, ইয়েমেন, টিউনিশিয়া এবং ভারতও। কূটনৈতিক সূত্রে খবর, হজ মরসুমকে কেন্দ্র করেই ভিসা প্রদানে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
কেন হঠাৎ ভিসা নিয়ে কড়াকড়ি: কূটনৈতিক সূত্রের তরফে খবর, আগামী জুন মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত বজায় থাকবে এই নিষেধাজ্ঞা। যেমনটা জানা যাচ্ছে, এর আগে হজ মরসুমে বিভিন্ন দেশ থেকে বহু মানুষ একাধিক বার প্রবেশযোগ্য ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে এসে অবৈধ ভাবে হজে (Bangladesh) অংশ নেন। এর জেরে একে তো অতিরিক্ত ভিড়ের সমস্যা দেখা দেয়, উপরন্তু নিরাপত্তাজনিতও বড় সমস্যা দেখা দেয় প্রতি বার। শুধু তাই নয়, ব্যবসা এবং পারিবারিক ভিসার সাহায্যে অনেকেই সৌদি আরবে অনুমোদিত ভাবে কাজ করতে থাকেন যে এই দেশের শ্রমনীতিতে বড় প্রভাব পড়ে।
আরো পড়ুন : দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান, অবশেষে বাংলায় এল ইন্ডিয়ান আইডল ট্রফি! কে জিতলেন সেরার শিরোপা?
নিষেধ না মানলে শাস্তি: কূটনৈতিক সূত্রে আরো খবর মিলেছে, হজ নিরাপত্তা আরো জোরদার করতেই ভিসা সংক্রান্ত সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সৌদি আরব সরকারের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নতুন নিয়ম যেন সকলে মেনে চলে। নয়তো শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে। নিষেধ অপেক্ষা করে যদি কেউ সৌদি আরবে অবৈধ ভাবে থাকেন তবে পরবর্তীতে অন্তত পাঁচ বছর ওই দেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ হতে যেতে পারে।
আরো পড়ুন : তিন মাসও কাটল না, নিজের দেশেই গণবিক্ষোভের মুখে ট্রাম্প, নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ল কে?
হজ মরশুমে নিরাপত্তা আরো জোরদার করতেই কড়াকড়ি বাড়ানো হয়েছে সৌদি আরবে। তবে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গিয়েছে, সৌদি আরবের উমরাহ ভিসা যাদের ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে তাদের জন্য ১৩ ই এপ্রিল পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৩ ই এপ্রিল পর্যন্ত সৌদি আরবে প্রবেশের অনুমতি থাকছে তাদের। কর্মকর্তারা অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে আবারও ভিসা প্রক্রিয়া আগের মতো হবে।