ভারত-রাশিয়াকে হাতে রেখে এবার বড় পরিকল্পনা করছে এই দেশ! জানলে উঠবেন চমকে

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারত অবশ্য রাশিয়ার (India-Russia) সঙ্গে অনেকদিন ধরেই সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বহুবার নরেন্দ্র মোদি রাশিয়া সফরেও গিয়েছেন। সেই কারণেই ভারত-রাশিয়ার (India-Russia) এই বন্ধুত্বের দিকে সবসময়েই নজর রেখেছে পশ্চিমির দুনিয়ার বহু দেশ থেকে শুরু করে ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোও।

ইন্ডিয়া-রাশিয়াকে (India-Russia) হাতে রাখাই লক্ষ্য এই দেশের

এবার পুতিন-মোদির এই বিশেষ সম্পর্কের মাঝেই নিজেদের ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে ভারতের এই প্রতিবেশী দেশ। নিশ্চয়ই ভাবছেন কোন দেশের কথা বলা হচ্ছে? এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ইন্ডিয়ার প্রতিবেশী মায়ানমার (Mayanmar)। ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আউং সান সু চির দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি’র নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে মায়ানমারের সেনা। ভারতের এই প্রতিবেশী রাষ্ট্রে শুরু হয় সামরিক জুন্টার শাসন।

আরও পড়ুন : নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার ‘চিনুদা’র এন্ট্রি! কে এই রহস্যময় চরিত্র? জানলে থ হবেন

তবে গত চার বছরের মধ্যে এলাকা দখলের লড়াইয়ে সামরিক জুন্টা সরকারের সম্মুখ সমরে এসে দাঁড়িয়েছে বিদ্রোহী জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’।এই উত্তাল পরিস্থিতিতে মায়ানমারের জুন্টা সরকারের প্রধান মিন অং হাইলিং গত মঙ্গলবার বৈঠক করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে। পুতিনের সাথে কয়েক ঘন্টার বৈঠকের পর পরই ঘটে গেল একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। একদিকে জুন্টা প্রধান জানান চলতি বছরের শেষের দিকেই মায়ানমারে অনুষ্ঠিত হবে সাধারণ নির্বাচন। 

আরও পড়ুন : “আমার দিকে তো কেউ…”, মাকে ছাড়াই প্রথম সন্তানের জন্ম ‘মিশকা’র, অবশেষে মনের কথা ফাঁস করলেন অহনা

অন্যদিকে, পুতিনের সাথে মিন অং হাইলিং-এর বৈঠক চলাকালীনই মায়ানমারের রাজধানী নেপিডোয় ভারতীয় দূতাবাসে বৈঠক করতে উপস্থিত হলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মন্ত্রী অং সান এবং উপ-বিদেশমন্ত্রী লুইন। মায়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী আউং সান সু চির সমর্থক স্বঘোষিত ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’ নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইরাওয়াদি’ জানিয়েছে, এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অভয় ঠাকুর এবং বিদেশ মন্ত্রকের আধিকারিকেরা।

সূত্রের খবর, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, বাণিজ্য এবং পরিবহণক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার পাশাপাশি এই বৈঠকে উঠে আসে ‘পারস্পরিক কৌশলগত স্বার্থের ক্ষেত্রে সহযোগিতার পথ অনুসন্ধান’ করার বিষয়টিও।এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই মনে করছেন, মায়ানমারে গৃহযুদ্ধ ঠেকাতে জুন্টা প্রধান রাশিয়া (Russia) ও চিনের পর সাহায্য আবেদনের জন্য দ্বারস্থ হলেন দিল্লির। গত দেড় বছরে মায়ানমারের বিদ্রোহী জোটের সবচেয়ে শক্তিশালী আরাকান আর্মির দখলে চলে গিয়েছে দেশের অধিকাংশ অঞ্চল।

This country wants setting India-Russia.

তবে বিদ্রোহী জোট ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’-এর দ্বিতীয় বৃহত্তম সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ) যুদ্ধ বিরতি চুক্তি স্বাক্ষর করায় কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে মায়ানমারের জুন্টা সরকার। এই যুদ্ধ বিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন চিনা প্রেসিডেন্ট জিনপিং। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে এবার কি ভারতের (India) সহায়তায় ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করছে জুন্টা সরকার? যদিও এই প্রশ্নের উত্তর মিলবে ভবিষ্যতেই।

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

X