মুহূর্তের মধ্যে হবে ধ্বংস! চিনকে ফাঁকি দিয়ে হাইপারসনিক অস্ত্র বানাবে এই দেশ, জেনে নিন প্ল্যান

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সুপারসনিক মিসাইলের মন্ত্র আয়ত্ত করার পর তাইওয়ান এখন হাইপারসনিক অস্ত্রের দিকে এগোচ্ছে। এজন্য তারা স্ক্র্যামজেট প্রযুক্তি বিকাশে নিয়োজিত রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। মূলত, চিনকে (China) ফাঁকি দিতে তাইওয়ান সুপারসনিক অ্যান্টি-এয়ার এবং অ্যান্টি-শিপ মিসাইল স্কাই বো এবং হেসাং ফেং তৈরি করেছে। আর্মামেন্টস ব্যুরো অন স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিন অনুসারে, তাইওয়ান স্ক্র্যামজেট প্রযুক্তি তৈরি এবং সেটির বিকাশে নিযুক্ত রয়েছে। যাতে তারা হাইপারসনিক অস্ত্রের অস্ত্রাগার তৈরি করতে পারে। এদিকে, এটাও সম্ভব যে তাইওয়ান দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে, যার সম্পর্কে কেউ জানে না। কারণ, তাদের কাছে আমেরিকার সমর্থনও রয়েছে।

ঘুম উড়বে চিনের (China):

উল্লেখ্য যে, তাইওয়ানের ন্যাশনাল চুং-শান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট সেন্টার আর্মামেন্ট ব্যুরোতে ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাডভান্সড টেকনোলজি প্রোগ্রামের প্রস্তাব করেছে। যেখানে তিন বছরের মধ্যে হিট রেজিস্ট্যান্ট প্রটেকশন মেটিরিয়াল এবং ইগনিশন এবং ফ্লেম ধরে রাখার স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিন তৈরির কথা বলা হয়েছে।

পুরনো সুপারসনিক মিসাইল প্রতিস্থাপন করবে: জানিয়ে রাখি, সহজ ডিজাইন এবং উচ্চতায় পৌঁছানোর ক্ষমতার কারণে হাইপারসনিক অস্ত্রের গতি অনেক বেশি হয়ে যায়। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এগুলি যেকোনও সুপারসনিক বা প্রচলিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে বেশি মারাত্মক এবং দ্রুততর হয়ে ওঠে। যার ফলে শত্রুরা তাদের থামানোর সময় পায় না। এমতাবস্থায়, তাইওয়ান ইউন ফেং ২ মিসাইলকে চিং তিয়েন হাইপারসনিক মিসাইল দিয়ে প্রতিস্থাপন করার পরিকল্পনা করছে। এর জন্য যে প্রকল্পটি চলছে তার নাম ফেইজি নং 2। এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির পর এটি তাইওয়ানের বিমান বাহিনী এবং এয়ার ডিফেন্স কমান্ডে মোতায়েন করা হবে। যাতে যেকোনও সময় চিনকে (China) উপযুক্ত জবাব দেওয়া যেতে পারে।

This country will make hypersonic weapons by increasing China thinking.

হাইপারসনিক অস্ত্র: সাধারণ ভাষায়, হাইপারসনিক অস্ত্র মানে এমন একটি অস্ত্র যা শব্দের গতির ৫ গুণ বেশি গতিতে চলে। অর্থাৎ ৬,১১৫ কিমি/ঘন্টা বা তার বেশি বেগে বাতাসে উড়তে পারে এমন অস্ত্র। যদি এই অস্ত্রটি সমুদ্রের ওপর দিয়ে ১,২২০ কিমি/ঘন্টা বেগে উড়ে যায় সেক্ষেত্রে এটিকে আক্রমণ করা কঠিন হয়। হাইপারসনিক অস্ত্রের আরও এক বিশেষত্ব হল এটি কম উচ্চতায়ও উড়তে পারে এবং টার্গেটকে সহজেই তাড়া করতে পারে। চিনের (China) DF-17 কম উচ্চতায় ওড়ার ক্ষমতা রাখে।

আরও পড়ুন: পুলিশের কাজ করে দিলেন সজল! খুঁজে বার করলেন তৃণমূল ঘনিষ্ঠ হামলাকারীর পরিচয়, হইচই গোটা বাংলায়

এদিকে, ভারতের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রেরও একই ক্ষমতা রয়েছে। জানিয়ে রাখি যে, DF-17 একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। তবে এটি হাইপারসনিক অস্ত্রের মতো কাজ করে। কারণ এর সামনের অংশটি একটি গ্লাইডারের মতো ডিজাইন করা হয়েছে। এটি ১,৮০০-২,০০০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করতে পারে।

আরও পড়ুন: হয়ে যান সতর্ক! স্বাধীনতা দিবসের দিনই গ্রাহকদের বড় ঝটকা দিল SBI, ফের টান পড়তে চলেছে পকেটে

কোন কোন দেশে হাইপারসনিক অস্ত্র আছে: উল্লেখ্য যে, চিন (China), আমেরিকা ও রাশিয়ার কাছে হাইপারসনিক অস্ত্রের সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তি রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য যেসব দেশ এসব অস্ত্র তৈরি করছে সেগুলি হল ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি এবং উত্তর কোরিয়া। চিনের কাছে দু’টি হাইপারসনিক অস্ত্র থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। যার একটি DF-17 এবং অন্যটি হল DF-ZF।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর