বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের দমকল মন্ত্রী তিনি। তৃণমূলের হেভিওয়েটদের মধ্যে একজন সুজিত বসু (Sujit Bose)। এবার তিনিই দলের কর্মীদের একাংশের ক্ষোভের মুখে পড়লেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনা হয়েছে। সম্প্রতি সাংবাদিক সম্মেলন করে সুজিতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন দলীয় কর্মীরা।
সুজিতের (Sujit Bose) মুখে সাঁটিয়ে দেওয়া হল কাগজ!
জানা যাচ্ছে, সাংগঠনিক বৈঠক ডেকে হাড়োয়া ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) সভাপতি ফরিদ জমাদারকে অপসারণের নির্দেশ দেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী। তাতেই চটে যান ওই ব্লকের তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। সুজিতের ছবিতে কাগজ সাঁটিয়ে তাঁর মুখ ঢেকে দেওয়া হয়। এরপর সাংবাদিক সম্মেলন করে একের পর এক ক্ষোভ উগড়ে দেন তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ কর্মী সমর্থকরা।
সম্প্রতি হাড়োয়া ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ফরিদ এবং হাড়োয়া ২ নম্বর ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আব্দুল খালেক মোল্লা সাংবাদিক সম্মালন করেন। সেখানে সুজিতের (Sujit Bose) বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ আনতে থাকেন তাঁরা। তৃণমূলের স্থানীয় ওই দুই নেতার দাবি, গত পঞ্চায়েত ভোটের পাশাপাশি চব্বিশের লোকসভা ভোটেও দলীয় প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামকে হাড়োয়া ২ নম্বর ব্লকের ৪টি পঞ্চায়েত থেকে প্রায় ৩২,০০০ ভোটে লিড দিয়েছেন। সন্দেশখালি ঘটনার আঁচ ভোটবাক্সে পড়তে দেননি। সেই সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট ব্লকের সীমান্তে আইএসএফের শক্ত ঘাঁটি ভেঙেছেন। তাঁদের প্রশ্ন, এতকিছুর পরেও কেন তৃণমূল সভাপতিকে অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হল?
আরও পড়ুনঃ বৃষ্টি কাটিয়ে ফের পারদ পতন বাংলায়! কত ডিগ্রিতে নামবে তাপমাত্রা? আবহাওয়ার খবর
ফরিদ জানান, সুজিতের উপস্থিতিতে একটি বৈঠক হয়েছিল। সেখানেই তিনি হাড়োয়া ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সভাপতি বদলের নির্দেশ দেন। শাসকদলের ওই নেতা বলেন, ‘আমরা পঞ্চায়েত নির্বাচন করলাম, লোকসভা করালাম। অথচ ভরা মঞ্চে আমায় অপমান করা হয়। আমি ব্যথিত। দলের কর্মীরাই রাগে ওনার মুখে কাগজ সাঁটিয়ে দিয়েছেন’।
বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের দাবি, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের সময় মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রীর রোষের মুখে পড়েছিলেন মিনাখাঁর বিধায়ক ঊষারানি মণ্ডল এবং তাঁর স্বামী। হাড়োয়ায় এসে তাঁদের ভর্ৎসনা করেছিলেন মমতা। এদিন সুজিত (Sujit Bose) তাঁকে পাশে বসিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অপসারণের ঘোষণা করেন বলে অভিযোগ।
আব্দুল খালেক মোল্লার প্রশ্ন, একজন সৎ শিক্ষিত ব্লক সভাপতি, যিনি নিষ্ঠার সঙ্গে নিজের কাজ করছেন। রাজ্যের মন্ত্রী তাঁকে কীভাবে অপসারণের নির্দেশ দিলেন? দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদৌ এই বিষয়ে জানেন কিনা তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি। সেই কারণে সুজিতের (Sujit Bose) কথায় প্রাধান্য দেবেন না বলে জানান ওই যুব তৃণমূল নেতা। আব্দুল খালেক মোল্লা স্পষ্ট বলেন, ‘আমরা মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে দল করি। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটা মেনে নেব’।