বাংলাহান্ট ডেস্ক: ‘হু ইজ কেকে (KK)?’ এই একটা প্রশ্নই যথেষ্ট ছিল নেটনাগরিকদের ক্ষেপিয়ে তুলতে। গোটা একটা প্রজন্ম যাঁর গান শুনে স্কুল, কলেজের গণ্ডি পার করল। ভালবাসতে শিখল, ভালবেসে আঘাত পেতে শিখল, বন্ধুত্বের নতুন পরিচয় পেল, তাঁর পরিচয় নিয়েই কিনা এত তুচ্ছ তাচ্ছিল্য! সপাটে জবাব দিয়েছেন নেটনাগরিকরা।
কিন্তু রূপঙ্কর কিন্তু একা নন। আরো একজন রয়েছেন যিনি কেকে কে চিনতেন না। কিন্তু তাঁর গান শুনে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। নামটা শুনলে চমকাতে বাধ্য হবেন। তিনি বলিউডের খ্যাতনামা পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালি (Sanjay Leela Bansali)। তিনিও চিনতেন না কেকে কে। কিন্তু তাঁর গান প্রথম বার শুনেই হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
কেকে-র আকস্মিক মৃত্যু সংবাদ শুনে বিশ্বাস করতে পারেননি বনশালি। এমন একটা প্রতিভা এই ভাবে চলে যেতে পারে? কীকরে সম্ভব? প্রশ্ন করেছেন পরিচালক। একসঙ্গে একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন বনশালি এবং কেকে। গায়কের মৃত্যুর পর সেই সমস্ত স্মৃতি উঠে এসেছে পরিচালকের কথায়।
প্রথমে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবিতে ‘তড়প তড়প কে’ গানটি জনপ্রিয়তার চূড়ায় তুলেছিল কেকে কে। বনশালি জানান, সুরকার ইসমাইল দরবার ‘তড়প তড়প কে’ গানটি রেকর্ড করে নিয়ে এসেছিলেন। গানটি ছিল কেকের কণ্ঠে। বনশালি বলেন, সাধারণত কোনো গানের গায়কদের প্রাথমিক বাছাই এই রেকর্ডিং গুলো দিয়েই হয়।
কিন্তু কেকের কণ্ঠ শুনেই চমকে উঠেছিলেন বনশালি। তিনি তখন চিনতেন না কেকে কে। মুগ্ধ হয়ে সুরকারকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “কে এটা? কোথা থেকে পেলে?” ইসমাইল দরবার উত্তর দিয়েছিলেন, গায়কের নাম কেকে। ‘ছোড় আয়ে হাম উয়ো গলিয়াঁ’ গানটি শুনে প্রথম তিনি চিনেছিলেন কেকে কে। বনশালি তখনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, তড়প তড়প কে গানটা কেকে কেই গাইতে হবে।
বনশালি বলেন, কেকে উন্নতির শীর্ষে পৌঁছেছিলেন। কিন্তু তবুও নিজের কোয়ালিটি ছাড়েননি গায়ক। তিনি কোনগুলো গাইবেন সে বিষয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল ছিলেন তিনি। এ বিষয়ে একটি স্মৃতি শেয়ার করে পরিচালক জানান, ‘গুজারিশ’ ছবিতে কেকে চেয়ারে বসে গান রেকর্ড করেছিলেন। কারণ নায়ক হৃতিক রোশন প্যারাপ্লেজিক ছিলেন ছবিতে। নিজের কাজের প্রতি এতটাই নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন কেকে।