রতন টাটার দত্তক নেওয়া এই কুকুর থাকেন তাঁর মিটিংয়েও! নেটমাধ্যমে প্রশংসা নেটিজেনদের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতের অন্যতম বিজনেস টাইকুন রতন টাটা তাঁর সহানুভূতিশীল আচরণ এবং অনাড়ম্বর জীবনযাপনের জন্য প্রায়ই খবরের শিরোনামে আসেন। কিন্তু, এবার যেই ঘটনাটি সামনে এসেছে তা জেনে ফের একবার অবাক হয়েছেন নেটিজেনরা।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে যেখানে করিশমা মেহতা নামের এক মহিলা ভূয়সী প্রশংসা করেছেন রতনের। সম্প্রতি তিনি রতন টাটার সাক্ষাৎকার নিতে তাঁর অফিসে গিয়েছিলেন। আর সেখানে গিয়েই রতনের সাথে তাঁর সাক্ষাতের বিষয়ের পাশাপাশি আরও একটি চমকপ্রদ ঘটনার কথা তিনি উপস্থাপিত করেছেন।

   

করিশমা মেহতা “হিউম্যানস অফ বোম্বে”-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং CEO। তিনি LinkedIn মারফত পুরো ঘটনাটির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ তুলে ধরেন। একটি পোস্টের মাধ্যমে করিশমা জানান, রতন টাটার সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে তাঁর অফিসে পৌঁছলে তিনি দেখেন যে, রতনের চেয়ারের ঠিক সামনে একটি কুকুর বসে রয়েছে।

এদিকে, কুকুরকে ভয় পান করিশমা। যেকারণে স্বাভাবিকভাবেই ভীত হয়ে পড়েন তিনি। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পর তিনি রতন টাটার সহকারী শান্তনুকে আস্তে আস্তে জানিয়েছিলেন যে, তিনি কুকুরকে খুব ভয় পান। সম্ভবত টাটা এটা শুনতে পেয়ে করিশমাকে জিজ্ঞেস করেন, “কি হয়েছে, তুমি ঠিক আছো?”

এরপরে শান্তনু রতনকে জানান “উনি কুকুরকে ভয় পান।” এই ঘটনায় রতন স্মিত হেসে কুকুরটির দিকে চেয়ার ঘুরিয়ে তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “গোয়া (কুকুরের নাম) ইনি তোমাকে ভয় পাচ্ছেন। তাই তুমি চুপচাপ শান্তভাবে এখানে বসে থাকো।” এরপর করিশমার সাথে টাটার প্রায় ৩০-৪০ মিনিট কথোপকথন হয়।

ratan news

এদিকে, এই ঘটনায় করিশমা অবাক হয়ে জানান, “এরপরে ওই কথোপকথনে গোয়া আর আমাদের কাছে আসেনি। আমি এই ঘটনায় অবাক হয়ে যাই।” পাশাপাশি, করিশমা আরও জানিয়েছেন যে, গোয়াকে দত্তক নিয়েছেন রতন টাটা। শুধু তাই নয়, গোয়া সারাদিন টাটার সঙ্গেই থাকে। এমনকি, গোয়াকে তাঁর সঙ্গে বিভিন্ন বৈঠকেও দেখা যায়। এদিকে, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ফের রতন টাটার প্রশংসা করেছেন নেটিজেনরা।

পাশাপাশি, ওই বৈঠকে গত ২৬/১১-র মুম্বাই হামলায় একটি ১০ বছরের মেয়ে যে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল তার কথাও রতন টাটার মনে আছে বলে জানিয়েছেন করিশমা। কিন্তু, এখনও সেই মেয়েটি ক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় রতন তাকে টাটা ট্রাস্টের সাথে যোগাযোগ রাখার কথাও জানিয়েছেন যাতে ওই মেয়েটির কোনো অসুবিধা না হয়।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর