“স্পেসে ভারতের অবস্থান শক্তিশালী”; ISRO, মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ কিংবদন্তি মহাকাশ যাত্রী, জানালেন শুভেচ্ছাও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দিন যত এগোচ্ছে ততই বিভিন্ন ক্ষেত্রে একের পর এক ঐতিহাসিক নজির তৈরি করছে ভারত (India)। যার রেশ বজায় রয়েছে মহাকাশ গবেষণাতেও। ইতিমধ্যেই চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)-এর মাধ্যমে চাঁদের দুর্গম দক্ষিণ মেরুর মাটি ছুঁয়ে সমগ্ৰ বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছে আমাদের দেশ। এদিকে, চন্দ্রজয়ের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের শনিবার সকাল ১১ টা ৫০ মিনিটে ISRO (Indian Space Research Organisation) তার প্রথম সৌর মিশন আদিত্য-L1 লঞ্চ করেছে। সূর্যকে ভালোভাবে নিরীক্ষণ করার জন্য এই মহাকাশযানটি ৭ টি পেলোড বহন করছে। শুধু তাই নয়, মহাকাশে প্রায় ১২৭ দিন সফরের পর এটি ল্যাংগ্রেজ পয়েন্ট 1-এ পৌঁছাবে।

এদিকে, ভারতের একের পর এক মহাকাশ কর্মসূচির সাফল্য দেখে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের প্রাক্তন কমান্ডার ক্রিস হ্যাডফিল্ড ISRO-র ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। ANI-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ক্রিস হ্যাডফিল্ড জানিয়েছেন, “স্পেস কমার্স, জিপিএস স্যাটেলাইট, আবহাওয়া উপগ্রহ, টেলিযোগাযোগ, চাঁদে অনুসন্ধান ও সূর্যের ওপর অনুসন্ধান, এই সবই ঘটেছে এক জীবনকালেরও কম সময়ের মধ্যে। এটি মহাকাশ প্রতিযোগিতা নয়। কারণ এটি প্রত্যেকের জন্য মহাকাশে একটি নতুন সুযোগ দিয়েছে। যদিও, এখন প্রতিযোগিতাটি আসলে এই নিয়ে যে কে প্রযুক্তিকে আর্থিকভাবে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে স্পেস বিজনেসকে অর্থনৈতিকভাবে অগ্রসর করার মাধ্যমে লাভজনক করে তুলতে পারে। ভারত এটি করার জন্য খুব শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রশংসা করেছেন হ্যাডফিল্ড: ভারতের মহাকাশ অভিযানের সাফল্যের জন্য ক্রিস হ্যাডফিল্ড প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রশংসাও করেছেন। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বহু বছর ধরে এটা দেখে আসছেন। তিনি ISRO-র সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। মহাকাশ অভিযানকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ভারতীয় নেতৃত্বের একটি বুদ্ধিমান পদক্ষেপ। পাশাপাশি, সরকার স্পেস বিজনেসের বিকাশও করছে এবং এতে বেসরকারিকরণকে উৎসাহিত করছে। যাতে ব্যবসা এবং ভারতের জনগণ এর থেকে উপকৃত হতে পারে।”

আরও পড়ুন: আর দূর নয় সূর্য, সফলভাবে Aditya-L1 লঞ্চ করল ISRO! পৌঁছতে লাগবে এত দিন

হ্যাডফিল্ড আরও জানান, “চাঁদে অবতরণ এবং সূর্যের কাছে মহাকাশযান পাঠানো, বা অন্তত সূর্যের উপর নজরদারি করা সহ ভারতীয় মহাকাশচারীদের মহাকাশে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করার এই পদক্ষেপ ভারতের এবং সারা বিশ্বের প্রত্যেকের জন্য একটি দুর্দান্ত উদাহরণ। যে কারোর জন্যই একটি সত্যি দৃশ্যমান উদাহরণ প্রদান করে। ভারতীয় প্রযুক্তিগত দক্ষতা এখন কোথায় রয়েছে তা সবাই জানতে পারছে এবং এটি আগত সবকিছুর একটি চিহ্ন।”

আরও পড়ুন: চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের পর এল বড় তথ্য! ভারতে এইভাবে তৈরি হয়েছে ৪৫,০০০ কর্মসংস্থান, কি জানাল ISRO?

ক্রিস অস্টিন হ্যাডফিল্ড: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ক্রিস অস্টিন হ্যাডফিল্ড একজন কানাডিয়ান মহাকাশচারী। তিনি এখন অবসর নিয়েছেন। হ্যাডফিল্ড একজন ইঞ্জিনিয়ার এবং ফাইটার প্লেনের পাইলটও ছিলেন। এছাড়াও, তিনি একজন সংগীতশিল্পী এবং লেখকও। ক্রিস অস্টিন দু’টি স্পেস শাটল মিশন উড়িয়েছেন এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের কমান্ডার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। হ্যাডফিল্ড ১৯৯৫ সালের নভেম্বরে রাশিয়ার STS-74 মিশনে বিশেষজ্ঞ হিসাবে কাজ করেছিলেন। সেই সময়ে তিনি প্রথমবারের মতো মহাকাশে পাড়ি দেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর