বাংলা হান্ট ডেস্ক : কথায় আছে বাঙালি মানেই মাছে (Fish) ভাতে বাঙালি। ভাতের পাশে মাছের (Fish) ঝোল না থাকলে খাবারের তৃপ্তি মেটেই না যেনো। সে কাতলা হোক কিংবা পুঁটি মাছ (Fish) হলেই হলো। মাছের ঝোল, হোক কিংবা ভাপা, মাছের ঝাল, পাতুরি সবই একসে বার কার এক। তবে মাছ শুধু স্বাদেই ভরা এমনটা কিন্তু নয়। স্বাদের পাশাপাশি পুষ্টিগুণেও ভরপুর ঠাসা।
- শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক কিছু মাছ (Fish)
হ্যাঁ এটা ঠিক যে মাছ বড় বড় রোগের জড়িবুটি। তবে আবার এমন কিছু মাছ রয়েছে যেগুলি বিষের চেয়েও বিষাক্ত। গপগপিয়ে মাছ খাওয়ার আগে সাবধান। এই মাছ গুলি খেলেই জীবনে ঘনিয়ে আসে ভয়ঙ্কর সব রোগ। বিশেষজ্ঞরাও, এই মাছ না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। বিশেষ করে, গর্ভবতী মহিলারা এই মাছ খাওয়া থেকে সাবধান। কারণ এই মাছে থাকা কিছু বিষাক্ত পদার্থ ভ্রুন, শিশু এবং শিশুদের স্নায়ুতন্ত্র বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে। কি সেই মাছ দেখুন তার তালিকা –
১) মাগুর মাছ :
বড় সাইজের মাগুর মাছ খাওয়া থেকে সাবধান। কারণ বর্তমান যুগে এই মাগুর মাছ বড় করার জন্য বিভিন্ন রকমের পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে এমন কিছু হরমোন মাছের শরীরে প্রবেশ করানো হয় যা মাছকে ক্ষতিকর করে তোলে। আর এই মাছ আমাদের পেটে গেলে শরীরে বিভিন্ন রোগ মাথাচাড়া দেয়।
২) বাংড়া মাছ :
অনেকেই বাংড়া মাছ খেতে পছন্দ করেন। বিশেষ এই মাছের লোভ সামলাতে কেউই পারেন না। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই মাছ খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেও ভালো নয়। কারণ এই মাছে থাকে অধিক মাত্রায় পারদ। এই পারদ শরীরে পক্ষের ক্ষতিকর।
৩) টুনা মাছ :
আজকাল এই মাছের বেশ জনপ্রিয়তা। বিদেশী এই মাছেও রয়েছে পারদ। শুধু তাই নয় এই মাছ হাইব্রিড পদ্ধতিতে চাষ করা হয়। এর ফলে এই মাছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিক এবং হরমোনের ইনজেকশন দেওয়া হয়। যা মাছকে বিষাক্ত করে তোলে।
৪) তেলাপিয়া মাছ :
যে সমস্ত রোগীদের কোলেস্টেরল রয়েছে, হৃদরোগের মতো বড় রোগে আক্রান্ত তারা তেলাপিয়া মাছ খাওয়া থেকে সাবধান। কারণ এই মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্ষতিকর চর্বি। এই চর্বি মানব শরীরের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। সেই জন্য তেলাপিয়া মাছ খেতে নিষেধ করে গবেষকরা।