বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার ব্যাঙ্ক অফ বরোদা (Bank Of Baroda) ফিক্সড ডিপোজিটের (Fixed Deposit) ক্ষেত্রে সুদের হার বাড়িয়েছে। এই প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে যে, ওই ব্যাঙ্কটি নির্বাচিত মেয়াদের ডোমেস্টিক রিটেল ডিপোজিটের সুদের ক্ষেত্রে ৩০ বেসিস পয়েন্ট (BPS) পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে NRO এবং NRI-এর ফিক্সড ডিপোজিটও। এর পাশাপাশি, ব্যাঙ্ক তার বরোদা তিরঙ্গা প্লাস ডিপোজিট স্কিমের সুদের হারও বাড়িয়েছে। এই FD-র মেয়াদ হল ৩৯৯ দিন। এই প্রসঙ্গে ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে যে, গত ১২ মে থেকে এই নতুন সুদের হার কার্যকর হয়েছে।
প্রবীণ নাগরিকদের জন্য অতিরিক্ত সুদ: জানিয়ে রাখি যে, ওই ব্যাঙ্কটি ২ বছরের বেশি এবং ৩ বছর পর্যন্ত সময়ের জন্য ২ কোটি টাকার কম রিটেল টার্ম ডিপোজিটের ক্ষেত্রে ৭.০৫ শতাংশ হারে সুদ দিচ্ছে। আগে এই হার ছিল ৬.৭৫ শতাংশ। পাশাপাশি, প্রবীণ নাগরিকরা এখন FD-তে ৭.৫৫ শতাংশ হারে সুদ পাবেন। আগে এই হার ছিল ৭.২৫ শতাংশ। এদিকে, ২ কোটি টাকার কম ডিপোজিটের ক্ষেত্রে সাধারণ নাগরিকরা ৭.২৫ শতাংশ এবং প্রবীণ নাগরিকরা ৭.৭৫ শতাংশ হারে সুদ পাবেন বলে জানা গিয়েছে।
বরোদা অ্যাডভান্টেজ FD: উল্লেখ্য যে, ব্যাঙ্কটি বরোদা তিরঙ্গা প্লাস ডিপোজিট স্কিমে বিনিয়োগের জন্য সাধারণ নাগরিকদের ৭.২৫ শতাংশ এবং প্রবীণ নাগরিকদের ৭.৭৫ শতাংশ সুদের হার উপলব্ধ করেছে। এদিকে, বরোদা অ্যাডভান্টেজ ফিক্সড ডিপোজিটের অধীনে, সাধারণ গ্রাহকদের ক্ষেত্রে সুদের হার আগের ৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭.৩০ শতাংশ হয়েছে। পাশাপাশি, প্রবীণ নাগরিকদের জন্য সুদের হার ৭.৫০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭.৮০ শতাংশ হয়েছে। উল্লেখ্য যে, ২০২২-এর ১৫ আগস্ট ব্যাঙ্কটি দ্বরোদা তিরঙ্গা ডিপোজিট স্কিম চালু করেছিল।
অনলাইনেই খোলা যেতে পারে FD: ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্ক অফ বরোদার বর্তমান এবং নতুন গ্রাহকেরা সারা ভারতে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের যেকোনো শাখার মাধ্যমে FD খুলতে পারেন। বর্তমান গ্রাহকরা ব্যাঙ্কের মোবাইল অ্যাপ কিংবা নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমেও অনলাইনে FD খুলতে পারেন। এছাড়াও, আপনি এই সরকারি ব্যাঙ্কের নিকটতম শাখায় গিয়ে ফিক্সড ডিপোজিট সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য পেতে পারেন। জানিয়ে রাখি যে, এর আগে ব্যাঙ্ক ২০২২-এর ডিসেম্বরে এবং চলতি বছরের মার্চে FD-তে সুদের হার বাড়িয়েছিল।
উল্লেখ্য যে, গত অর্থবর্ষে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ক্রমাগত রেপো রেট বাড়িয়েছিল। এরপরে, দেশের বেসরকারি এবং সরকারি ব্যাঙ্কগুলি তাদের ফিক্সড ডিপোজিট স্কিমগুলিকে আকর্ষণীয় করতে সুদের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। যা চলতি অর্থবর্ষেও অব্যাহত রয়েছে।