বাংলা হান্ট ডেস্ক: গত বছরে বেশ কয়েকটি সরকারি কোম্পানিকে বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)। এমতাবস্থায়, নতুন বছর শুরু হতে না হতেই সরকার ফের আরেকটি কোম্পানিকে বেসরকারিকরণের পথে অগ্রসর হয়েছে। মূলত, সরকার গত বছরই এই বিষয়ে পরিকল্পনা করেছিল যে, জানুয়ারিতে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির বেসরকারিকরণের প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, সরকার কনকর (Concor) সংস্থাটিকে বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন বছরে অর্থাৎ জানুয়ারিতেই এর জন্য বিডের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
মূলত, সরকার চলতি মাসেই কন্টেইনার কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (কনকর)-র বেসরকারীকরণের জন্য এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট (EoI) বা প্রাথমিক বিডের আমন্ত্রণ জানাবে। এই প্রসঙ্গে বুধবার এক আধিকারিক এই তথ্য জানিয়েছেন। ওই আধিকারিক বলেছেন যে, কনকর-এর জন্য বিডের নথি প্রায় প্রস্তুত এবং “বিকল্প ব্যবস্থা” বা মন্ত্রিসভার মূল মন্ত্রীদের একটি গ্রুপ থেকে অনুমোদন নিতে হবে।
শীঘ্রই স্মারকলিপি প্রকাশ করা হবে: পাশাপাশি, ওই আধিকারিক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, “আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কনকরের জন্য EOI-কে আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রাথমিক স্মারকলিপি জারি করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।” উল্লেখ্য যে, ২০১৯-এর নভেম্বরে মন্ত্রিসভা সরকারের ৫৪.৮০ শতাংশ শেয়ারের মধ্যে কনকরের ৪০.৮ শতাংশ শেয়ার কৌশলগতভাবে বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে।
যারা শেয়ার কিনবে সেই কোম্পানির কাছে নিয়ন্ত্রণও যাবে: এর পাশাপাশি, শেয়ার অধিগ্রহণকারী কোম্পানিকে ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণও দেওয়া হবে। এই বিক্রির পরে, সরকার কোনো ভেটো ক্ষমতা ছাড়াই ২৪ শতাংশ শেয়ার ধরে রাখবে। এমতাবস্থায়, বিনিয়োগকারীরা রেলের ভূমি পাট্টা নীতি এবং লাইসেন্স ফি সম্পর্কে স্পষ্টতার অপেক্ষায় থাকায় বিক্রয় পরিকল্পনাটি অচলাবস্থায় ছিল।
আগামী অর্থবর্ষ পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলবে: পরবর্তীকালে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা গত সেপ্টেম্বরে একটি সংশোধিত নীতি অনুমোদন করে। যেটিতে জমির বাজার মূল্যের বার্ষিক ১.৫ শতাংশ হারে ৩৫ বছরের জন্য কার্গো-সম্পর্কিত ক্রিয়াকলাপের জন্য রেলের জমি লিজ দেওয়ার ব্যবস্থা করে। এদিকে, কনকরের কৌশলগত বিক্রয় পরবর্তী অর্থবর্ষ পর্যন্ত চলবে। এর মধ্যেই সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীরা তাদের আর্থিক বিড জমা দেবেন।
ছোট কোম্পানি বিক্রি করে বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে: বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, মার্চে শেষ হতে যাওয়া চলতি অর্থবর্ষে আর কোনো কৌশলগত শেয়ার বিক্রির আশা নেই। এমন পরিস্থিতিতে, ৬৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে, সরকার ছোট অংশীদারিত্ব বিক্রির জন্য জোর দিতে পারে।