বিশ্বের সবথেকে বেশি মানুষকে চাকরি দেয় ভারতের এই সরকারি দফতর! নামটি জানলে চমকে উঠবেন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: দেশ (India) তথা সমগ্র বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে হাজার হাজার সরকারি সংস্থা এবং বেসরকারি কোম্পানি। যেগুলিতে চাকরি করেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। কিন্তু, আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে, বিশ্বের কোন ক্ষেত্রে সবথেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ চাকরি করেন? অর্থাৎ, বিশ্বের সবচেয়ে বড় এমপ্লয়ার (Employer) তথা নিয়োগকর্তা কে? বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা ঠিক সেই বিষয়টিই উপস্থাপিত করব। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই উত্তরটি জানলে রীতিমত চমকে উঠবেন আপনি।

মূলত, সম্প্রতি একটি চমকপ্রদ পরিসংখ্যান সামনে এসেছে। যেখানে এই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এই পরিসংখ্যানে জয়জয়কার হয়েছে ভারতেরই। কারণ, ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকই বিশ্বের সবথেকে বড় নিয়োগকর্তার তকমা পেয়েছে। যা নিঃসন্দেহে একটি গর্বের বিষয়।

তথ্য অনুযায়ী, দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে ২৯.৯ লক্ষ কর্মচারী রয়েছেন। সৈন্য ছাড়াও রিজার্ভ সৈন্য এবং সিভিলিয়ান স্টাফরাও এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। এদিকে, এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী আরও জানা গিয়েছে যে, মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ হল বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম নিয়োগকর্তা। সেখানে প্রায় ২৯.১ লক্ষ মানুষ এই বিভাগের সঙ্গে যুক্ত। এদিকে, চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মিতে রয়েছেন ২৫ লক্ষ কর্মী। এর মধ্যে সিভিলিয়ান স্টাফদের অন্তর্ভুক্ত করা হয় না।

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, এহেন গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যানটি সামনে এনেছে জার্মানির বেসরকারি সংস্থা Statista Research Department। হামবুর্গে স্থিত সংস্থাটি মার্কেট এবং কনজিউমার ডেটা প্রদানে অত্যন্ত সিদ্ধহস্ত। আর তাদেরই রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে বিশ্বে সর্বাধিক কর্মসংস্থান দেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক রয়েছে প্রথম স্থানে।

https://twitter.com/itswpceo/status/1673285594955513856

তালিকায় রয়েছে এই সংস্থাগুলিও: এদিকে এই তালিকায়, যে সমস্ত সংস্থাগুলি রয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ওয়ালমার্ট। সেখানে ২৩ লক্ষ কর্মী রয়েছে। তারপরেই রয়েছে অ্যামাজন (১৬.১ লক্ষ কর্মী), চিনের ন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (১৪.৫ লক্ষ কর্মী), ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (১৩.৮ লক্ষ কর্মী) এবং ফক্সকন (১২.৯ লক্ষ কর্মী)।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর