বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডে এমন অনেক জুটিই ছিল যারা জনপ্রিয় হলেও ভাগ্য তাদের মিলতে দেয়নি। একে অপরকে ভালবেসে কাছাকাছি আসলেও বিয়ে করতে পারেননি তাঁরা। এমনি এক জুটি হল ঐশ্বর্য রাই বচ্চন (Aishwarya Rai Bachchan) এবং বিবেক ওবেরয় (Vivek Oberoi)। তাঁদের সম্পর্কের কথা ইন্ডাস্ট্রিতে কারোরই অজানা ছিল না। এমনকি শোনা যায়, এই সম্পর্কের জন্য নাকি কেরিয়ারও সঙ্কটের মুখে পড়েছিল বিবেকের।
বিশ্বসুন্দরী হওয়ার পর বলিউডে নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করতে এসেছিলেন ঐশ্বর্য রাই। তখনো বচ্চন হননি তিনি। সুন্দরী, যুবতী ঐশ্বর্যকে দেখেই তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন সলমন খান। ভাইজানের আগ্রহ দেখে দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন ঐশ্বর্যও। চুটিয়ে প্রেম শুরু করেন দুজনে। কিন্তু শোনা যায়, সলমনের অতিরিক্ত কর্তৃত্ব বোধ এবং মারকুটে স্বভাবই তাঁদের মধ্যে ভাঙন ধরিয়েছিল।
সলমনের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরেই বিবেকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান ঐশ্বর্য। দুজনের রসায়ন জমে উঠতে বেশি সময় লাগেনি। কিন্তু ঐশ্বর্য বিবেক যতই কাছাকাছি আসেন ততই অন্তরে অন্তরে জ্বলতে থাকেন সলমন। বিবেককে মোটেই সহ্য করতে পারতেন না তিনি। একথা বহুবার বহু সাক্ষাৎকারে বলেছেন অভিনেতা। ঐশ্বর্যকে অন্য কারোর সঙ্গে দেখতে রাজি ছিলেন না ভাইজান।
এমনকি ঐশ্বর্যর সঙ্গে বিচ্ছেদের জন্যও সলমনকেই দায়ী করেছিলেন বিবেক। সম্পর্ক ভাঙার পরে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে ভাইজানের বিরুদ্ধে বিষ্ফোরক অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। শোনা যায়, সব ঘটনার সূত্রপাত এক হোটেল থেকে। ঐশ্বর্যর ৩০ তম জন্মদিনে ৩০ রকম উপহার দিয়েছিলেন বিবেক। সেদিন শহরের এক বিলাসবহুল হোটেলে দুজনকে একসঙ্গে যেতেও দেখা গিয়েছিল।
শোনা যায়, সে খবর পেয়েই দিগ্বিদিক জ্ঞান হারান সলমন। মেজাজ গরম করে বিবেককে নাকি কেরিয়ার শেষ করে দেওয়া আর খুনের হুমকিও দিয়েছিলেন তিনি। সলমনের রুদ্রমূর্তির জন্য ভয় পেয়ে বিবেকের থেকে দূরে সরে যান ঐশ্বর্য। সাংবাদিক সম্মেলন করে সলমনের সমস্ত কীর্তি ফাঁস করে দিয়েছিলেন বিবেক।
এতে অবশ্য তাঁরই বিপদ বাড়ে। ভাইজান সত্যি সত্যিই ধ্বংস করে দেন বিবেকের কেরিয়ার। পরবর্তীকালে তিনি জানিয়েছিলেন, বলিউডের কিছু ক্ষমতাশালী মানুষের লবি তাঁকে টেনে নীচে নামানোর চেষ্টা করেছিল। দেড় বছর তাঁর কাছে কোনো কাজ ছিল না। আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন বিবেক। সে সময়ে তাঁর স্ত্রীই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন অভিনেতা।