বাংলা হান্ট ডেস্ক: চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এবার থাকছে বিরাট সুযোগ ! দেশের অন্যতম একটি বৃহৎ আইটি সংস্থায় ইতিমধ্যেই বিপুল নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এইচসিএল (HCL) মার্চে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিক এবং সম্পূর্ণ অর্থবর্ষের জন্য তাদের লাভ-ক্ষতির পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। সেখানেই এই বিপুল নিয়োগ পরিকল্পনার বিষয়টি সামনে নিয়ে আসা হয়েছে সংস্থার তরফে। পাশাপাশি, গত অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে এইচসিএল প্রায় ৩,৫৯৩ কোটি টাকার নেট আয়ের ঘোষণাও করেছে।
জানা গিয়েছে যে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে প্রায় ৪৫ হাজার ফ্রেশার নিয়োগ করতে চলেছে আইটি সংস্থা HCL টেকনোলজিস। স্বাভাবিকভাবেই নতুন ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতকদের জন্য এটা দারুণ একটা সুখবর। মূলত, ক্রমবর্ধমান কর্মী চাহিদার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সংস্থার তরফে। এছাড়াও, হাইব্রিড মডেল অনুসরণ করেই নিয়োগ সম্পন্ন হবে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।
কি এই হাইব্রিড মডেল?
আমরা সবাই জানি যে, করোনার মত ভয়াবহ মহামারীর আবহে কাজকর্ম সচল রাখতে “ওয়ার্ক ফ্রম হোম”-মডেলটি কার্যকর হয়। আর সেখান থেকেই দেখা যায় যে, আইটির বেশ কিছু কাজ খুব সহজেই বাড়ি থেকেও করতে পারবেন কর্মীরা। এমতাবস্থায়, মহামারীর দুর্যোগ কেটে গেলেও বাড়ি থেকেই কাজের সুবিধা জারি রাখার পথে হাঁটছে অধিকাংশ সংস্থা।
মূলত, এর ফলে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের নির্দিষ্ট কিছু দিন অফিসে যেতে হলেও বাকি সময়টা বাড়ি থেকেই কাজ সম্পন্ন করবেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, কোনও কোনও সংস্থা কেবলমাত্র নির্দিষ্ট কিছু কর্মীদেরই অফিসে আনার কথা ভাবছে। সেক্ষেত্রে বাড়িতে বসেই কাজ সারবেন বাকিরা। অর্থাৎ, হাইব্রিড মডেলের দিকেই ঝুঁকছে সংস্থাগুলি। এইচসিএলও এই মডেলে এগোনোর কথাই ভাবছে। এছাড়াও, নতুন এই অর্থবর্ষে অফিসে ১২-১৫% কর্মী নিয়ে কাজ করার কথা ভাবছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমানে ১৬৫ টি দেশের কর্মী এইসিএলে কাজ করেন। এর মধ্যে ২৮ শতাংশই মহিলা কর্মী। এছাড়াও, ৩১ মার্চের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গিয়েছে, বৰ্তমানে এইচসিএল-এর মোট কর্মী সংখ্যা হল ২ লক্ষ ৮ হাজার ৮৭৭ জন। পাশাপাশি, গত বছরেই মোট ৩৯ হাজার ৯০০ জনকে নিয়োগ করেছে সংস্থাটি। তার মধ্যে ফ্রেশারের সংখ্যা ছিল প্রায় ২৩ হাজার।