বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতীয় বিজ্ঞানীদের মধ্যে যাঁরা তাঁদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বেই নজির তৈরি করেছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন মহান বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু। যাঁকে “ঈশ্বর কণার জনক” হিসেবে বিবেচিত করা হয়। তিনি ছিলেন একজন পদার্থবিজ্ঞানী। যাঁর গবেষণা সমগ্র বিশ্বে তাঁর নাম ছড়িয়ে দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, তাঁর গবেষণা অবাক করে দিয়েছিল আইনস্টাইনকেও (Albert Einstein)।
সত্যেন্দ্রনাথ বসুর গবেষণা অবাক করেছিল আইনস্টাইনকে (Albert Einstein):
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, সত্যেন্দ্রনাথ বসু ঢাকা এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যায় গবেষণা করতেন এবং পড়ুয়াদের পড়াতে। তিনি মেঘনাথ সাহার সাথে ভারতে মডার্ন থিয়োরিটিক্যাল ফিজিক্সের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। শুধু তাই নয়, সত্যেন্দ্রনাথ বসু বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের (Albert Einstein) সাথে সাব অ্যাটমিক কণার দু’টি মৌলিক শ্রেণি চিহ্নিত করেছিলেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, আইনস্টাইন (Albert Einstein) সত্যেন্দ্রনাথের গবেষণায় অত্যন্ত মুগ্ধ ছিলেন। শুধু তাই নয়, তাঁদের গবেষণার ওপর ভিত্তি করে তাঁরা দু’জনেই বোস আইনস্টাইন কনডেনসেটের ভবিষ্যৎবাণী করেন। এটি হল পদার্থের এমন একটি অবস্থা যখন বোসন কণাগুলি পরম শূন্যের (-২৭৩.১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস) কাছাকাছি ঠান্ডা হয়। এদিকে, সত্যেন্দ্রনাথ এবং আইনস্টাইনের এই ভবিষ্যৎবাণী সত্য প্রমাণিত হয়।
আরও পড়ুন: ট্রেনে ঘুমন্ত যাত্রীদের ওপর আচমকাই পড়ল গরম চা! কামরায় শুরু তুমুল হইচই, মর্মান্তিক মৃত্যু ২ জনের
এমতাবস্থায়, ২০০১ সালে গ্যাসে বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেট অবস্থার আবিষ্কারের জন্য ১৯২১ সালে আইনস্টাইন (Albert Einstein) সহ তিনজন বিজ্ঞানী পদার্থবিজ্ঞানের নোবেল পেয়েছিলেন। যদিও, সত্যেন্দ্রনাথ বসু নোবেল পাননি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, হিগস বোসন একটি সাব অ্যাটমিক কণা। যেটির নামকরণ করা হয়েছে বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুর নাম অনুসারে। ২০১৩ সালে হিগস বোসন আবিষ্কারক বিজ্ঞানীরা নোবেল পুরস্কার পান।
আরও পড়ুন: সোনা-রুপোর দামে বিরাট পতন! ১ সপ্তাহে লাফিয়ে কমল দাম, কেনার জন্য হুড়োহুড়ি ক্রেতাদের
এদিকে সত্যেন্দ্রনাথ বসু এবং আইনস্টাইন (Albert Einstein) এই দুই বিজ্ঞানী মিলে বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যানের তত্ত্বও দিয়েছেন। সত্যেন্দ্রনাথ বসু তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে বিশেষত কোয়ান্টাম মেকানিকসের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। এমতাবস্থায়, বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে তাঁর অপরিসীম ভূমিকার জন্য ভারত সরকারের তরফে তাঁকে “পদ্মবিভূষণ” সম্মানে ভূষিত করা হয়।