বাংলাহান্ট ডেস্ক: ১৯৮৮ সালে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়েছিল মহাভারত (mahabharata) । সেই কালজয়ী ধারাবাহিক (serial) আবারও ফিরে এসেছে এই লকডাউনের সময়। আর বলা বাহুল্য তখন যে জনপ্রিয়তা ছিল এই ধারাবাহিকের এখনও তাই আছে।
তরুণ প্রজন্মও একইরকম ভাবে আপন করে নিয়েছে এই ধারাবাহিক ও তার চরিত্রগুলোকে। আগেও যেমন সপ্তাহের শেষে সকলে একসঙ্গে টিভির সামনে বসতেন মহাভারত দেখার জন্য, এখনও তেমনি দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। জনপ্রিয়তা এতই বেড়েছে এই শোয়ের যে সব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেই ট্রেন্ডিং তালিকার শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে মহাভারত।
কিন্তু কালের নিয়মে অভিনেতা অভিনেত্রীদেরও বয়স বেড়েছে। মহাভারত আবার টেলিকাস্ট হওয়ায় জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তাঁরাও। নীতিশ ভরদ্বাজ অভিনয় করেছিলেন কৃষ্ণের চরিত্রে। এখন তিনি সাংসদ। ধারাবাহিকে কৃষ্ণের চরিত্রে তাঁর অভিনয় প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়েছিল। তিনি একাধারে পরিচালক ও চিত্রনাট্যকারও। শেষবার কেদারনাথ ছবিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
যুধিষ্ঠিরের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল গজেন্দ্র চৌহানকে। মহাভারত পুনসম্প্রচারিত হওয়ায় নতুন করে নজর কেড়েছেন তিনি। ৩৪ বছরের কেরিয়ারে ৬০০র বেশি শোতে অভিনয় করেছেন তিনি। FTII এর প্রাক্তন চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি।
ভীমের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন প্রবীন কুমার। বাস্তব জীবনে তিনি একজন ক্রীড়াবিদ। দুবার অলিম্পিক ও এশিয়ান গেমে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। চারটি পদকও জেতেন তিনি।
https://twitter.com/BharatKumar1857/status/1031803044462125056?s=19
অর্জুন হয়েছিলেন ফিরোজ খান। মহাভারতের পর বেশ কিছু ছবিতেও কাজ করেন তিনি। তার মধ্যে রয়েছে কয়ামত সে কয়ামত তক, তিরঙ্গা, করন অর্জুনের মতো ছবি।
দ্রৌপদীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন রূপা গাঙ্গুলী। বর্তমানে তিনি রাজ্য সভার সদস্য। অবশেষে ছবির জন্য সেরা মহিলা প্লেব্যাক গায়িকা হিসাবে জাতীয় পুরস্কারও পান তিনি।
মুকেশ খান্নাকে দেখা গিয়েছিল ভীষ্ম পিতামহের চরিত্রে। তারপরে শক্তিমান হিসাবেও প্রচুর জনপ্রিয়তা পান তিনি।
পুনীত ইস্সর হয়েছিলেন দুর্যোধন। এই ধারাবাহিকের পরেও বহু ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। বচনা অ্যায় হাসিনো, সন অফ সর্দার, রাবণ ছবিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
কর্ণের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন পঙ্কজ ধীর। এরপরে সোলজার, টারজান সহ বেশ কিছু ধারাবাহিকেও অভিনয় করেছেন তিনি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সসুরাল সিমর কা, দেবো কা দেব মহাদেব।
গুফি পয়নতালকে দেখা গিয়েছিল শকুনি মামার চরিত্রে। ধারাবাহিকে তাঁর অভিনয় দেখে এরপর বেশ কিছু ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
ধৃতরাষ্ট্র হয়েছিলেন গিরিজা শঙ্কর। এটি তাঁর কেরিয়ারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। আলিফ লায়লাতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
রেণুকা ইসরানি অভিনয় করেছিলেন গান্ধারীর চরিত্রে। সেই সময় তাঁর বয়স মাত্র ২২। এরপর ছোটপর্দায় অভিনয় শুরু করেন তিনি।
তখনকার দিনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নাজনীন অভিনয় করেছিলেন কুন্তীর ভূমিকায়। তার আগে কোরা কাগজ, চলতে চলতে, দিলদার সহ বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
সুরেন্দ্র পালকে দেখা গিয়েছিল দ্রোণাচার্যের চরিত্রে। পরে যোধা আকবর, এয়ার লিফট সহ জনপ্রিয় ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি।