বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সারাদেশে এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্ত দুকোটিরও বেশি মানুষ। ইতিমধ্যেই নাজেহাল দশা চিকিৎসা ব্যবস্থার। একদিকে যেমন অক্সিজেন সংকট, তেমনি বেডের সংকট, হাসপাতালের কালোবাজারি চিকিৎসকের অভাব সব মিলিয়ে পপরিস্থিতি ভীষণই জটিল। লকডাউনের জেরে কোভিড শৃঙ্খল কিছুটা ভাঙলেও গত চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেও দশ হাজারেরও বেশি মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন দেশের আটটি রাজ্যে। এই পরিসংখ্যান যে যথেষ্ট আশঙ্কার এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। এরই মধ্যে আবার বড় আশঙ্কার খবর শোনাল কেন্দ্র সরকার।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের জয়েন্ট সেক্রেটারি লাভ আগরওয়াল জানান, সংক্রমিতের সংখ্যা যাই হোক না কেন এখনো সংক্রমন নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে। সবমিলিয়ে এখনো পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন, দেশের মাত্র ১.৮ শতাংশ মানুষ। তবে মনে রাখতে হবে বাকি ৯৮% এর জন্য বিপদ এখনো কাটেনি। তাই সতর্ক থাকা একান্ত প্রয়োজন। এই মুহূর্তে সারাদেশব্যাপী অ্যাক্টিভ করোনা রোগী প্রায় ৩৭ লক্ষ। সংখ্যাটা দেখতে বড় হলেও ভারতের ১৩০ কোটি জনসংখ্যার বিচারে তা প্রায় কিছুই নয়। অন্যদিকে সারা দেশজুড়ে এই মুহূর্তে ভ্যাক্সিনেটেড হয়েছেন ১৯ কোটির কাছাকাছি মানুষ। তাই স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কথা অনুযায়ী, এই মুহূর্তে দরকার সচেতনতা। এক মুহূর্তের আসেচনতাও ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ।
তবে একদিকে যেমন রয়েছে আশঙ্কা অন্যদিকে ররয়েছে কিছুটা আশার আলোও। গত কয়েকদিনে অনেকটাই বেড়েছে সুস্থতার হার। ৮১.৭০% থেকে বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ৮৫.৬০%। ইতিমধ্যেই কোভিড জয় করে ঘরে ফিরেছেন ২ কোটি ২২ লক্ষ ৪৩৬ জন। অন্যদিকে বেশকিছুটা কমেছে সংক্রমনও৷ লকডাউনের জেরে গত চব্বিশ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৮১ হাজার মানুষ। যা গত ককয়েকদিনের তুলনায় অনেক কম।কেন্দ্র জানিয়েছে, গত ১৫ দিনে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ১৭.১৩% থেকে কমে হয়েছে ১৩.৩%। এছাড়া দেশের মোট ২৬টি রাজ্যে এইমুহুর্তে নতুন সংক্রমিতের তুলনায় সুস্থতার সংখ্যা অনেকটাই বেশি।