বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতের সবথেকে বড় সুপারস্টার কে? এই প্রশ্নটা যদি করা হয়, অনেকেই একবাক্যে উত্তর দেবেন, শাহরুখ খান (Shahrukh Khan)। বলিউডে কোনো গডফাদার না থাকা সত্ত্বেও সম্পূর্ণ ‘বহিরাগত’ একটি ছেলে এসে কীভাবে ইন্ডাস্ট্রিকে নিজের হাতের মুঠোয় করে নিতে পারে, তা শাহরুখকে না দেখলে বিশ্বাসই হবে না। পাশের বাড়ির ছেলে থেকে বলিউডের সবথেকে বড় রোম্যান্টিক হিরো- শাহরুখ (Shahrukh Khan) ভালোবেসে দু হাত ছড়িয়েছেন আর এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিও সাদরে আলিঙ্গন করেছে তাঁকে।
হিট ফ্লপ মিলিয়ে শাহরুখের (Shahrukh Khan) কেরিয়ার
তবে বিশ্বের যত বড় তারকাই হোক না কেন, ওঠাপড়া তো সকলের জীবনেই আছে। শাহরুখও (Shahrukh Khan) ব্যতিক্রম নন।। ফিল্মি কেরিয়ার থেকে ব্যক্তিগত জীবন, বহু উত্থান পতন দেখেছেন তিনিও। লম্বা অভিনয় জীবনে বড়পর্দার পাশাপাশি ছোটপর্দাতেও অভিনয় করেছেন কিং খান। তবে এই উপাধি পাওয়ার সফরটা সহজ ছিল না। তিনি যেমন বহু ব্লকবাস্টার হিট, ক্লাসিক ছবি উপহার দিয়েছেন, তেমনি কিছু কিছু ছবি একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছে বক্স অফিসে। শাহরুখের (Shahrukh Khan) কেরিয়ারে সবথেকে বড় ফ্লপ হয়েছিল কোন ছবিটি, জানেন? আজ অভিনেতার ৫৯ তম জন্মদিনে জেনে নিন এই তথ্য।
আরো পড়ুন: থালা বাজিয়ে চিতা তাড়াল শ্যামলী! দেদার ট্রোল নেটপাড়ায়, TRP বাড়ানোর নিনজা টেকনিক?
অভিনেতার ভাগ্য বদলায় এই ছবি
তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় করছেন শাহরুখ (Shahrukh Khan)। তাঁর কেরিয়ারের একেবারে শুরুর দিকের কিছু ছবির খবর অনেকেই রাখেন না। শাহরুখের কেরিয়ার উল্লেখযোগ্য মোড় নেয় ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে’ থেকে। এই ছবির হাত ধরেই তাঁর স্টারডমের সূত্রপাত। অথচ ওই একই বছরে শাহরুখের (Shahrukh Khan) যে আরো একটি ছবি মুক্তি পেয়েছিল তা অনেকেই জানেন না। কারণ ডিডিএলজে এর সাফল্য ঢেকে দিয়েছিল অপর ছবিটির চূড়ান্ত ব্যর্থতা। সেই ছবির নাম ‘ত্রিমূর্তি’।
সবথেকে বড় ফ্লপ কোন সিনেমা?
মুকুল এস আনন্দ পরিচালিত ‘ত্রিমূর্তি’ ছিল সে সময়কার সবথেকে বড় বাজেটের ছবি। তৈরি হয়েছিল ১১ কোটি টাকায়! ছবিতে শাহরুখ (Shahrukh Khan) ছাড়াও ছিলেন আরো দুই সুপারস্টার অনিল কাপুর এবং জ্যাকি শ্রফ। তবে অনিলের চরিত্রটি প্রথমে দেওয়া হয় সঞ্জয় দত্তকে। তিনি শুটিংও শুরু করেন। কিন্তু আচমকাই অবৈধ অস্ত্র রাখার অপরাধে জেল হয় তাঁর। ছবির হিরো জেলে, বন্ধ হয়ে যায় শুটিং। ফের তাঁর জায়গায় অনিল কাপুরকে নিয়ে নতুন করে শুট হয় ছবি।
শুরুটাও মন্দ হয়নি ত্রিমূর্তির। উপরন্তু এটিই ছিল প্রথম ভারতীয় ছবি যা এক দিনে ১ কোটি টাকা কামিয়েছিল। কিন্তু মুক্তির পর এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই পাশা পালটে যায়। ধস নামে বক্স অফিসে। টেনেটুনে ৮ কোটি তুলে চূড়ান্ত ফ্লপ তকমা নিয়ে দম ছাড়ে ত্রিমূর্তি। উল্লেখ্য, এটিই ছিল মুকুল এস আনন্দের শেষ পরিচালিত ছবি। ১৯৯৭ সালে অপর একটি ছবির কাজ অসমাপ্ত রেখেই প্রয়াত হন তিনি।