বাংলা হান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি আফ্রিকার দেশ অ্যাঙ্গোলায় খনি শ্রমিকরা গত ৩০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় গোলাপি হীরের (Pink Diamond) খোঁজ পেয়েছেন। জানা গিয়েছে, এই বিশেষ গোলাপি হীরেটি ১৭০ ক্যারেটের। এই প্রসঙ্গে হীরে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, গত ৩০০ বছরের মধ্যে খুঁজে পাওয়া এটিই সবচেয়ে বড় গোলাপি হীরে। লুকাপা ডায়মন্ড কোম্পানির মালিকানাধীন একটি খনি থেকেই এটির সন্ধান মিলেছে।
ইতিমধ্যেই গত বুধবার কোম্পানিটি তাদের ওয়েবসাইটে এই সম্পর্কে একটি ঘোষণা করেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, অ্যাঙ্গোলার লুলো খনিতে অত্যন্ত দুর্লভ “লুলো রোজ” (The Lulo Rose) হীরের সন্ধান পাওয়া গেছে। পাশাপাশি, বর্তমানে সেটি বিশুদ্ধ আকারে রয়েছে বলেও জানানো হয়। কাটিং এবং পলিশ করার পরই এর সঠিক দাম আন্দাজ করা যাবে। উল্লেখ্য যে, এই খনিটি অ্যাঙ্গোলার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত রয়েছে। সর্বোপরি, ওই এলাকায় বিপুল পরিমাণ হীরে মজুত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আর হীরে থাকার সম্ভাবনার জন্যই অস্ট্রেলিয়ার হীরে খননকারী কোম্পানি লুকাপা অ্যাঙ্গোলার এই এলাকায় বিনিয়োগ করেছে। খনিতে পাওয়া ওই হীরেটি হল একটি টাইপ 2A হীরে। এর মানে হল, এটি প্রাকৃতিকভাবে অত্যন্ত বিরল এবং বিশুদ্ধ। এমতাবস্থায়, ওই কোম্পানিটির পাশাপাশি অ্যাঙ্গোলার সরকারও এই হীরের খোঁজ মেলায় অত্যন্ত খুশি হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে অ্যাঙ্গোলার খনিজ সম্পদ মন্ত্রী ডায়ামান্টিনো আজেভেদো এই বিরল হীরের সন্ধানকে একটি “রেকর্ড” হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এদিকে, বিশ্বের হীরে উৎপাদনকারী অঞ্চলগুলির মধ্যে লুলো রোজের সন্ধান মেলায় অ্যাঙ্গোলার নামও অনেকটাই উপরে উঠে এসেছে। আন্তর্জাতিকভাবে টেন্ডারের মারফত এই হীরেটি বিক্রি করা হবে।
যেহেতু, এখনও এই হীরেটির কাটিং এবং পালিশ করা বাকি আছে সেক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে যে, এগুলির পর হীরেটির ওজন প্রায় ৫০ শতাংশ কমে যাবে। তবে, এর আগে খুঁজে পাওয়া এমন দুষ্প্রাপ্য হীরে বিক্রি হয়েছে চড়া দামে। তাই, এই হীরেটিও যে বহুমূল্য হতে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে, হংকং-এ একটি ৫৯.৬ ক্যারেটের পিঙ্ক স্টার হীরের নিলাম করা হয়েছিল। যেখানে সেটি ৭১.২ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ৫৬৭.৮৬ কোটি টাকায় বিক্রি হয়। এমতাবস্থায়, এই গোলাপি হীরেটিই এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। যদিও, লুলো রোজ বর্তমানে ১৭০ ক্যারেটের। তাই, স্বাভাবিকভাবেই কাটিং এবং পালিশের পরেও এটির দাম ভালোই হবে। উল্লেখ্য যে, একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গিয়েছে, সারা বিশ্বের মানুষই হীরে অত্যন্ত পছন্দ করেন। যে কারণে বর্তমানে বাজারে এর চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে।