এটাই হল বিশ্বের সবচেয়ে ছোট রেল স্টেশন! ট্র্যাকে চলে মাত্র দু’টি কোচ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দেশ তথা সমগ্ৰ বিশ্বজুড়েই যাতায়াতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে ট্রেন (Train)। আমরা সকলেই কোনো না কোনো কাজে কম-বেশি ট্রেনে যাতায়াত করেছি। এমতাবস্থায়, ট্রেনে সফরকালে আমাদের সবার প্রথমে যেখানে পৌঁছতে হয় সেটা হল রেল স্টেশন (Rail Station)। কারণ, রেল স্টেশন ছাড়া যাত্রাপথে আর কোথাও দাঁড়ায় না ট্রেন।

তবে, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে ট্রেন সম্পর্কিত এমন কিছু তথ্য উপস্থাপিত করব যেটি জানার পর রীতিমতো অবাক হয়ে যাবেন আপনি। মূলত, আপনি কি কখনও এমন কোনো ট্রেন সফর করেছেন যেটি এক মিনিটের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়? যদি এত উত্তর না হয়, সেক্ষেত্রে এঞ্জেলস ফ্লাইটে আপনাকে স্বাগত। ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে অবস্থিত এই রেলপথ দাবি করেছে যে, এটি বিশ্বের সবচেয়ে ছোট রেলপথ। এই ট্রেনটি হিল স্ট্রিট এবং গ্র্যান্ড অ্যাভিনিউর মধ্যে বাঙ্কার হিলে চলাচল করে। যে কারণে মানুষের জীবনে পরিবর্তনও হয়েছিল।

এটি বিশ্বের সবচেয়ে ছোট রেলওয়ে স্টেশন: এই জায়গাটি সবাইকেই আকৃষ্ট করে। মূলত, এঞ্জেলস ফ্লাইট হল একটি ২ ফুট ৬ ইঞ্চির (৭৬২ মিমি) ন্যারোগেজ ফানিক্যুলার রেলপথ। ক্যালিফোর্নিয়ার ডাউনটাউন লস অ্যাঞ্জেলেসের বাঙ্কার হিল জেলায় অবস্থিত এই স্টেশনে দু’টি ফানিক্যুলার বগি রয়েছে। যা অলিভেট এবং সিনাই নামে পরিচিত। এই দু’টি বগি একটি ২৯৮ ফুট (৯১ মিটার) লম্বা ঢালু রেলপথে শেয়ারেবল কেবলের মাধ্যমে বিপরীত দিকে চলাচল করে।

১০০ বছর আগে শুরু হয়েছিল: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ১৯০১ থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত পুরোনো অ্যাঞ্জেলস ফ্লাইটটি হিল স্ট্রিট এবং অলিভ স্ট্রিটের সাথে সংযুক্ত ছিল। কিন্তু তখন পুনঃসংস্কারের উদ্দেশ্যে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বেশ কয়েক বছর পরে, ১৯৬৬ সালে হিল স্ট্রিট এবং ক্যালিফোর্নিয়া প্লাজাকে সংযুক্ত করে একটি দ্বিতীয় এঞ্জেলস ফ্লাইট চালু করা হয়েছিল। এদিকে, ২০০১ সালে একটি মারাত্মক দুর্ঘটনার কারণে আবার এটি বন্ধ হয়ে যায়। ওই দুর্ঘটনায় একজন যাত্রী নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। তবে, ন’বছর পরে, রেলওয়ে ২০১০ সালে অ্যাঞ্জেলস ফ্লাইট পুনরায় চালু করে। কিন্তু শীঘ্রই সেটিও স্বল্প সময়ের জন্য আবার বন্ধ হয়ে যায়।

master

২০১৭ সালে হাই-টেক উপায়ে তৈরি হয়: এদিকে, ২০১৩ সালে একটি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনার কারণে স্টেশনটি বন্ধ হয়ে যায়। এমতাবস্থায়, দুর্ঘটনার পরে একটি তদন্তে জানা যায় যে, ট্রেনটির নকশা এবং পরিচালনা উভয় ক্ষেত্রেই কিছু গুরুতর নিরাপত্তাজনিত সমস্যা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, বিশ্বের সবচেয়ে ছোট রেলপথটি অবশেষে ২০১৭ সালে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য হাই-টেক এবং সুনির্দিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থার সাথে পুনরায় চালু করা হয়েছিল। সেই থেকে, এলএ-তে এই রেলওয়ে হল শহরের অন্যতম প্রধান পর্যটন আকর্ষণ।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর