Airport: গাছের তলায় অপেক্ষা করেন যাত্রীরা, মোটে ৪৫ জন প্যাসেঞ্জার নিয়ে এটিই বিশ্বের সবথেকে ছোট বিমানবন্দর!

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিমানবন্দর (Airport) বা এয়ারপোর্ট নামটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে বিশালাকার আয়তন নিয়ে তৈরি এক জায়গা, যেখান থেকে বিমান ওঠানামা করে। বিমানবন্দরে পা রাখা মাত্রই যেন আপনা থেকেই কলারটা একটু উঁচিয়ে দিতে ইচ্ছা করে। সমস্ত রকম আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ঝাঁ চকচকে এয়ারপোর্টে (Airport) অপেক্ষা করতেও যেন বিরক্তি আসে না। কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শুরু করে দেশ তথা গোটা বিশ্বে এমন অনেক বিমানবন্দরই রয়েছে, যেগুলি আকারে আয়তনে এবং আধুনিকতায় চোখ ধাঁধিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। এমনি এক বিমানবন্দরের বিষয়ে জানাব এই প্রতিবেদনে, যেটি আকারে বড় হওয়ার জন্য নয়, বরং ছোট হওয়ার জন্যই বিখ্যাত।

এটিই বিশ্বের সবথেকে ছোট বিমানবন্দর (Airport)

বাস স্ট্যান্ড, রেল স্টেশনের থেকে বিমানবন্দর (Airport) বরাবরই বেশি জায়গা নিয়েই তৈরি হয়। ডোমেস্টিক এবং ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইটের আলাদা আলাদা জায়গা, বিশ্রাম নেওয়ার, অপেক্ষা করার জায়গা নিয়ে তৈরি হয় বিমানবন্দর। কিছু কিছু বিমানবন্দরের ভেতরে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতেই নাকি লেগে যায় লম্বা সময়। তবে এই বিশ্বেরই এক প্রান্তে রয়েছে এমন এক বিমানবন্দর যেখানে না রয়েছে বিলাসবহুল ওয়েটিং রুম, আর না রয়েছে অন্যান্য আধুনিক বন্দোবস্ত।

আরো পড়ুন : Pressure Cooker: অর্ডার করেছিলেন ২০২২-এ, দু বছর পর ক্যানসেল করা প্রেশার কুকার পাঠাল অনলাইন সংস্থা

কোথায় রয়েছে এই বিমানবন্দর

কলম্বিয়ার অ্যাগুয়াচিকা (Aguachica) নামক জায়গায় রয়েছে এই অদ্ভূত বিমানবন্দর (Airport)। নাম Hacaritama Airport। বিশ্বের মধ্যে সবথেকে কম জায়গা নিয়ে তৈরি এই বিমানবন্দর। মাত্র দুটি ওয়েটিং এরিয়া রয়েছে গোটা বিমানবন্দরে, একটি বিমানবন্দরে পৌঁছালে এবং অপরটি লাগেজ চেকিংয়ের জায়গায়। বিমানবন্দরে নেই কোনো আধুনিক ব্যবস্থা। রোদের মধ্যেই অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের। একটি আম গাছের তলায় পাতা থাকে বেঞ্চ। সেখানে বসেই বিমানের অপেক্ষা করেন যাত্রীরা।

আরো পড়ুন : বাড়ির অমতে বিয়ে, তিন তিনবার গর্ভপাত, মাত্র ৩৮-এই মর্মান্তিক মৃত্যু হয় বলিউডের দাপুটে নায়িকার

নেই কোনো আধুনিক ব্যবস্থা

বিমানবন্দরে (Airport) যারা গিয়েছেন তারা সকলেই জানেন, লাগেজ চেকিংয়ে একটা লম্বা সময় অতিবাহিত হয়। একাধিক স্বয়ংক্রিয় আধুনিক যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা করা হয় যাত্রীদের লাগেজ যাতে তাদের নিরাপত্তায় কোনো ঝুঁকি না থাকে। কিন্তু জানলে অবাক হবেন, এই বিমানবন্দরে লাগেজ চেক করার জন্য নেই কোনো স্ক্যানার। জায়গাই নেই স্ক্যানার রাখার। তাই লাগেজ চেক হয় ম্যানুয়ালি।

Airport

 

পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য একটি করে ওয়েটিং রুম রয়েছে বিমানবন্দরে। সারা দিনে যাত্রী হয় মেরেকেটে ৪৮ জন। বিমানগুলিও হয় ছোট ছোট, তবে যাত্রীদের জন্য থাকে আরামদায়ক সিট। গন্তব্যে পৌঁছে লাগেজ নেওয়ার জন্য দেওয়া হয় বিশেষ টিকিট। যাবেন নাকি একবার এই অদ্ভূত বিমানবন্দরে?

Niranjana Nag
Niranjana Nag

নীরাজনা নাগ, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক পাশ করার পর সাংবাদিকতার সফর শুরু। বিগত ৫ বছর ধরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর